উত্তর দিনাজপুর : বিধায়কের বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধরের অভিযোগ এক তৃণমূল নেতার। আহত অবস্থায় ওই নেতাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া ব্লকের ঘটনা।
সোমবার একটি বাইক দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে সালিশিসভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সালিশিসভা শেষ হওয়ার পর বিধায়কের বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন ওই তৃণমূল নেতা। অভিযোগ, সেখান থেকেই তাঁকে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনার প্রতিবাদে এদিন দীর্ঘক্ষণ জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয় ।
জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে চোপড়া ব্লকের দুই গ্রামের দুই বাসিন্দার বাইকে দুর্ঘটনা হয়। সেই নিয়ে ওই দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদ বাড়ে। সোমবার বিলেকে তাই সালিশিসভার আয়োজন করা হয়েছিল। বিকেলে মীরধাবস্তি গ্রামের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য তথা বর্তমান পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী তৃণমুল নেতা মহম্মদ গফুর দুর্ঘটনা নিয়ে দুই গ্রামের দুজনকে সালিসিসভা করেন। সেখানেই বিষয়টি মিটিয়ে দেওয়া হয়।
অভিযোগ, সালিশি সভা মিটিয়ে এদিন সন্ধ্যায় মহম্মদ গফুর চোপড়ার তৃঁমুল বিধায়ক হামিদুল রহমানের বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। সেই সময় একেবারে বিধায়কের বাড়ির সামনে থেকেই একদল দুষ্কৃতী তাঁকে অপহরণ করে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। এরপর গফুরের অনুগামীরা খোঁজ খবর নিয়ে তাকে উদ্ধার করতে গেলে তাঁকে রক্তাক্ত যখম অবস্থায় পাওয়া যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে চোপড়া দলুয়া ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে আশঙ্কাজনক থাকায় তাঁকে শিলিগুড়ি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে স্থানান্তরিত করা হয়।
এদিকে ঘটনার কথা জানাজানি হতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন গফুরের অনুগামীরা। আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ পদক্ষেপ করার দাবি জানিয়ে চোপড়া বাসস্ট্যান্ডের সামনে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক দীর্ঘক্ষণ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান । তবে স্থানীয়দের একাংশের মতে, সালিশিসভায় যাঁদের বিপক্ষে যায় বিচার, তাঁদের ক্ষোভের থেকেই এই ঘটনা ঘটে।