সারা দেশ থেকে একের পর এক বাংলাদেশি জঙ্গি ও অনুপ্রবেশকারী গ্রেফতার হচ্ছে (Abhishek Banerjee)। বেশিরভাগ জঙ্গি ও অনুপ্রবেশকারীদের সঙ্গে বাংলা যোগের প্রমাণ মিলেছে । এই বিষয়ে সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। এই প্রসঙ্গে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন ডায়মন্ড হারবারে তৃণমূলের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তিনি অভিযোগ করেন, বিএসএফ-ই বাংলাদেশ থেকে জঙ্গি ও অনুপ্রবেশকারীদের ভারতে প্রবেশ করাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বাংলাকে কুৎসা করতেই বিজেপি এই চক্রান্ত করছে। জঙ্গি শুধুমাত্র এ রাজ্য থেকে নয়, ত্রিপুরা-অসমের মতো বিজেপি শাসিত রাজ্য থেকেও ধরা পড়েছে।” তৃণমূল সাংসদের প্রশ্ন, “এই তো ত্রিপুরা থেকে এতজন ধরা পড়েছে। ত্রিপুরা সরকার কি তৃণমূলের? ডাবল ইঞ্জিন সরকার তো? অসমের মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূল করেন? ওঁরাই বলে ঘুসপেটিয়া, উল্টা লটকা দুঙ্গা, কাকে ঝোলালো?” এদিন পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ভূয়শী প্রশংসা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “বাংলার পুলিশ না সাহায্য করলে জঙ্গি ধরা পড়ত? বাংলাকে অশান্ত করতে। জঙ্গি কে ঢুকিয়েছে? বিএসএফ। আর রাজ্যের পুলিশ জঙ্গি ধরেছে।বিএসএফের নাকের তলা দিয়ে গরু পাচার হয়, কয়লা পাচার হয়। আর ওরা তৃণমূলের দিকে আঙুল তোলে। কোলিয়ারির নিরাপত্তা দায়িত্বে কে রয়েছে? সিআইএসএফ। সীমান্তে নিরাপত্তার দায়িত্বে কে রয়েছে? বিএসএফ। তা হলে কীভাবে গরু পাচার হয়? কীভাবে কয়লা পাচার হয়?”
প্রাক্তন বিএসএফ কর্তা সমীর মিত্র এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। তিনি বলেন, “এই ধরনের মন্তব্য দেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এই বিষয়ে একজন সাংসদের জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। আর বিএসএফ যদি সাহায্য করে জঙ্গি ঢোকাতে, সেই প্রমাণ যদি থেকে থাকে তাহলে আমি বলব কোর্টে গিয়ে দ্রুত বিচারের প্রার্থনা করা উচিত। কারণ এর মধ্যে সত্যতা দেখি না। প্রমাণ না থাকলে আমি বিশ্বাস করব না। বিএসএফ-এর মনোবলকে আঘাত দেওয়া হচ্ছে না?”