ভারত বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাপ্লাই চেইন এবং গোলাবারুদ রপ্তানিকারক হয়ে উঠতে পারে। সম্প্রতি অ্যামো ইন্ডিয়ার (Ammo India Report 2024) তথ্য সরকারের মেক ইন ইন্ডিয়া অভিযান অস্ত্রের বাজারে দ্রুত উঠে আসছে।
বিশ্ব আজ তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে। বিশ্বের দুই শক্তিশালী ও অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ আমেরিকা ও রাশিয়া যুদ্ধে ব্যস্ত, যার কারণে গোলাবারুদের সরবরাহ লাইনও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ভারত বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাপ্লাই চেইন এবং গোলাবারুদ রপ্তানিকারক হয়ে উঠতে পারে। সম্প্রতি অ্যামো ইন্ডিয়ার (Ammo India Report 2024) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
গোটা বিশ্বে যে যুদ্ধের পরিবেশ তৈরি হয়েছে তার মধ্যে এই বিপর্যয়ে ভারত সুযোগ পেতে পারে। সরকারের মেক ইন ইন্ডিয়া অভিযান অস্ত্রের বাজারে দ্রুত উঠে আসছে। ভারতও গোলাবারুদের বৈশ্বিক চাহিদা মেটাতে সক্ষম হচ্ছে। বর্তমানে, বিশ্বের প্রায় ১.৮২ লক্ষ কোটি টাকার গোলাবারুদ চাহিদা মেটাতে একমাত্র ভারতের ক্ষমতা রয়েছে।
২০২৩ সালের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে
সম্প্রতি অ্যামো ইন্ডিয়া ২০২৪ (Ammo India Report 2024) রিপোর্টে দাবি, বিশ্বে গোলাবারুদের চাহিদা প্রায় ১.৩০ লক্ষ কোটি টাকা। এতে, ভারী ক্যালিবার গোলাবারুদের মৌলিক চাহিদা ৫৩.৪৮ শতাংশ, যেখানে গ্রেনেড, ল্যান্ড মাইন এবং মর্টারের চাহিদা ২৩.২৭শতাংশ। একই সময়ে, মাঝারি ক্যালিবার গোলাবারুদের চাহিদা ১২.৮৪ শতাংশ। রিপোর্টে এটাও দাবি করা হয়েছে যে ভারত ‘মেক ফর দ্য ওয়ার্ল্ড’-এ এগিয়ে যাচ্ছে। গোলাবারুদের বাজারে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে ভারত। অ্যামো ইন্ডিয়ার মতে, ২০৩২ সাল নাগাদ বিশ্ব চাহিদা প্রায় ১.৮৪ লক্ষ কোটি টাকা হবে বলে অনুমান করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, এটি ভারতের প্রতিরক্ষা শিল্পের জন্য একটি বড় উত্সাহ হতে পারে।
২০৩২ সালে ভারতের প্রতিরক্ষা বাজার কোথায় পৌঁছাবে?
ভারতের গোলাবারুদ প্রতিরক্ষা খাতে ৭.৫৭ কোটি টাকা পৌঁছেছে। প্রতিবেদনে এটিও দাবি করা হচ্ছে যে ভারত ৪.৯৩শতাংশ বৃদ্ধির সাথে ২০৩২ সালের মধ্যে ১১,৯৮১ কোটি রুপি পৌঁছাবে। ভারতের প্রতিরক্ষা সেক্টরে এই অভূতপূর্ব উচ্ছ্বাসের মূল কারণ মেক ইন ইন্ডিয়া উদ্যোগ। এর প্রধান কারণ হলো, আজ অস্ত্র ও গোলাবারুদ তৈরির বাজার সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারি খাতের জন্য উন্মুক্ত হয়েছে।