Arjun Sing: অর্জুন সিংয়ের ‘পুকুর বোমা’, ভাটপাড়ায় জলাভূমি ভরাট নিয়ে বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ!

ভাটপাড়া: ভাটপাড়া পুরসভা এলাকায় প্রায় ৩৫০টি পুকুর ভরাট হয়ে গেছে। এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং (Arjun Sing)। সোমবার জগদ্দলের মজদুর ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এই গুরুতর অভিযোগ তোলেন। তাঁর এই দাবি ভাটপাড়া পৌর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বড়সড় প্রশ্ন চিহ্ন তুলে দিয়েছে।

অর্জুন সিংয়ের দাবি, সরকারি নথিতে মাত্র ৩৫টি পুকুর ভরাটের কথা উল্লেখ থাকলেও, বাস্তবে এর সংখ্যা ৩৫০টি। তিনি অভিযোগ করেন, ভাটপাড়া পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার নাকি এই পুকুর ভরাটের বিষয়ে নবান্নে অভিযোগ জানিয়েছেন, তবুও এই অবৈধ কাজ বন্ধ হয়নি। শুধু তাই নয়, অর্জুন সিংয়ের আরও গুরুতর অভিযোগ, ভাটপাড়া পুরসভায় চেয়ারম্যানের সই পর্যন্ত জাল করা হচ্ছে। এই বিষয়টি নিয়েও জেলাশাসক নবান্ন এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছেন বলে তাঁর দাবি। অর্জুন সিং বর্তমান পরিস্থিতিকে কলকাতা কর্পোরেশন এলাকার সঙ্গে তুলনা করে বলেন, কলকাতার মতোই এখানেও জলাভূমিগুলি ভরাট হয়ে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে।

যদিও অর্জুন সিংয়ের এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ভাটপাড়া পৌরসভার উপ-প্রধান দেবজ্যোতি ঘোষ ভিন্ন মত পোষণ করেছেন। তিনি জানান, যে সকল পুকুর ভরাট হয়, তার বিরুদ্ধে পৌরসভা থেকে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়। তিনি স্বীকার করেন যে, কিছু কিছু পুকুর এখনও পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনা যায়নি, যা এক প্রকার ব্যর্থতা হিসেবেই ধরা যায়। দেবজ্যোতি ঘোষের এই বক্তব্য থেকে বোঝা যায়, পুকুর ভরাটের বিষয়টি পৌর কর্তৃপক্ষের নজরে রয়েছে, তবে অর্জুন সিংয়ের ‘পুকুর বোমা’ ( দাবি করা বিশাল সংখ্যা ) এবং চেয়ারম্যানের সই জালের মতো অভিযোগগুলো পৌরসভাকে বেশ অস্বস্তিতে ফেলেছে।

অর্জুন সিংয়ের এই বিস্ফোরক দাবি ভাটপাড়ার রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। পুকুর ভরাট একদিকে যেমন পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে, তেমনই জল নিকাশি ব্যবস্থাতেও বড় ধরনের প্রভাব ফেলে। বর্ষার সময় জল জমার সমস্যা আরও বাড়তে পারে। অন্যদিকে, এই অভিযোগগুলি ভাটপাড়া পৌরসভার স্বচ্ছতা এবং কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। এই অভিযোগগুলির সত্যতা প্রমাণ হলে পৌর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বড় ধরনের প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। তবে আগামী দিনে এই পুকুর ভরাট কাণ্ড নিয়ে আরও রাজনৈতিক চাপানউতোর বাড়বে বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।