অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি (Asaduddin Owaisi) বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। মোদিকে প্রধানমন্ত্রী হওয়া থেকে ঠেকানোর জন্য তিনি একাই চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে দাবি করেন ওয়েইসি। তিনি বলেন, মোদিকে ছাড়া শুকনো পাতার মতো উড়ে যাবে বিজেপি। তিনি অযোধ্যার ধান্নিপুরে নির্মিত মসজিদটিকে মসজিদ-ই-জারারা হিসাবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন যে, তিনি কখনও ঐ মসজিদে যাবেন না।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল মোদির প্রধানমন্ত্রীত্ব থেকে অবসর নেওয়ার যে দাবি তুলেছিলেন, সেই বিষয়ে ওয়েইসিকে প্রশ্না করা হলে তিনি বলেন, মোদিকে ছাড়া বিজেপির কোনও ভবিষ্যৎ নেই। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ‘পাক অধিকৃত কাশ্মীর’ নিয়ে বয়ানের সমালোচনাও করেন তিনি। ওয়েইসি বলেন, ‘আপনি ১০ বছর ধরে সরকারে আছেন, আপনি পিওকে কেন আনলেন না?’ এখন নির্বাচনে এসে যাওয়ায় বয়ান দিতে শুরু করেছেন। এখন তো পরিস্থিতিও গরম আছে’। অমিত শাহ যদি পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতের সঙ্গে সামিল করতে পারে, তাহলে তিনি নিজে দাঁড়িয়ে তার জন্য ‘জিন্দাবাদ’ স্লোগান দেবেন বলে জানালেন ওয়েইসি।
Narendra Modi: ‘৪ঠা জুনের পর শাহজাদা ঠকাঠক বিদেশে চলে যাবেন’, রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ মোদির
ওয়েইসি বলেন, ‘নিরাপত্তা ইস্যুতে আমরা দেশের সঙ্গে আছি। সেক্ষেত্রে দেশ হোক কিংবা মোদি। তিনি বিজেপির ‘ঘরে ঢুকে মারার বায়নের সমালোচনা করে বলেন, ‘মারুন চিনকে’। ওয়েইসির কথায়, ভারতের ২০০০ কিলোমিটারেরও বেশি এলাকা দখল করে নিয়েছে বসে আছে চিন। চিনকে এখনই সরানো না গেলে সিয়াচেনও হাতছাড়া হয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘গত ৫ বছরে চিন সড়ক নির্মাণ করেছে, বাঙ্কার তৈরি করেছে। এর পরেও আপনি বলছেন যে কোনও অনুপ্রবেশ হয়নি, হবে না।’
হায়দরাবাদে নিজের প্রতিদ্বন্দ্বি ও বিজেপি প্রার্থী মাধবী লতাকে কটাক্ষ করে ওয়েইসি বলেন, কোভিডের সময় গরিবদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার জন্য তাঁর হাসপাতালকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। তিনি বলেন, হায়দরাবাদের মানুষ তাঁকে পঞ্চমবারের মতো সংসদে পাঠাতে চলেছেন। এআইএমআইএম-কে বিজেপি ও কংগ্রেসের ‘বি টিম’ বলা প্রসঙ্গে ওয়াইসি বলেন, প্রত্যেকে তাঁদের সুবিধা অনুযায়ী তাঁকে তকমা দিচ্ছে, কিন্তু যখন তিনি নির্বাচনে লড়ছেন, তখন তিনি সকলের সঙ্গে লড়াই করেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে হিন্দু বনাম মুসলিম বয়ান দেওয়ার অভিযোগ করেন ওয়েইসি। বলেন, মোদি খুব সহজেই মিথ্যা কথা বলেন, মোদি দাবি করেন, এত লোককে দারিদ্র্য থেকে মুক্ত করেছেন, কিন্তু দারিদ্র্যের তালিকায় মুসলমানরাই সবথেকে বেশি সংখ্যায় আছে। কম বেতন আর বেকার শ্রেণীর মধ্যে মুসলমানরাই বেশি। ওয়েইসির প্রশ্ন, প্রধানমন্ত্রী যে ১৫ শতাংশের কথা বলেন, তা কাদের জন্য বলেন? ছোটবেলায় মুসলমানদের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়েও কটাক্ষ করেন ওয়েইসি। ওয়েইসি বলেন, ‘গত ১০ বছরে তো আপনারা একটাও ইফতার ভোজের আয়োজন করতে পারেননি।’