Bangladesh: কারাবন্দী হিন্দু সাধক চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিনের আবেদন খারিজ, আদালতে অনুপস্থিত আইনজীবী

একজন হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস বর্তমানে বাংলাদেশের (Bangladesh) একটি কারাগারে বন্দি রয়েছেন। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে তার জামিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হলেও আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করেছে। আদালত ৩০ মিনিট ধরে এই মামলার শুনানি করেন। আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনেছে। এটা স্পষ্ট যে, চিন্ময় দাসকে আরও বেশি সময় জেলে কাটাতে হবে। এর আগে ১১ ডিসেম্বর বাংলাদেশের একটি আদালত পদ্ধতিগত ত্রুটির কথা উল্লেখ করে দাসের প্রাথমিক জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়।

চিন্ময় দাসের আইনজীবী অসুস্থ থাকায় তাঁর জামিনের আবেদনের শুনানিতে ১১ জন আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। আদালতে আইনজীবীরা বলেন, চিন্ময় দাসের অনেক গুরুতর রোগ রয়েছে, তা সত্ত্বেও তাকে ভুলভাবে জেলে রাখা হয়েছে।

কলকাতা ইসকন-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধা রমন বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক খবর। আমরা জানি গোটা বিশ্ব দেখছে। সবাই আশা করছিল যে নতুন বছরে চিন্ময় প্রভু মুক্তি পাবেন। কিন্তু ৪২ দিন পরেও আজ শুনানিতে তাঁর জামিন নামঞ্জুর করা হয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকারের উচিত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।

আইনজীবীরা শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন না

চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আইনজীবীকে বুকে ব্যথার কারণে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হৃদরোগ বিভাগে ভর্তি করা হয়েছিল। শারীরিক অসুস্থতার কারণে ২ জানুয়ারি চট্টগ্রামের আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় কারারুদ্ধ চিন্ময় কৃষ্ণের শুনানিতে তিনি উপস্থিত ছিলেন না।

চট্টগ্রাম আদালতে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস
প্রভুর জামিন আবেদন শুনানি হয়।

চিন্ময় দাসের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ?

চিন্ময় দাসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের (Bangladesh) জাতীয় পতাকাকে অপমান করার অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগ করেছেন সাবেক বিএনপি নেতা ফিরোজ খান। খান অভিযোগ করেছিলেন যে, ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

এখানেই চিন্ময় দাস এবং আরও ১৮ জন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাকে অসম্মান করেছেন। মজার বিষয় হল, ফিরোজ খান, যিনি তখন একজন বিএনপি নেতা ছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ এনে অভিযোগ করার কয়েক দিন পর দল থেকে বেরিয়ে যান। এদিকে, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।