বাংলাদেশে ৫ আগস্ট থেকে ৪৯ জন সংখ্যালঘু শিক্ষক পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। শেখ হাসিনা সরকার উৎখাতের (Bangladesh Crisis) পর থেকে ৫২টি জেলায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর হামলার অন্তত ২০৫টি ঘটনা ঘটেছে।
বাংলাদেশে সহিংসতার পর (Bangladesh Crisis) অভ্যুত্থান হয়। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতন হয়। এরপর দেশে যে ব্যাপক সহিংসতা হয় তা শিক্ষকদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে ৫ আগস্ট থেকে ৪৯ জন সংখ্যালঘু শিক্ষক পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। সংখ্যালঘুদের একটি সংগঠন এ তথ্য জানিয়েছে। শেখ হাসিনা সরকার উৎখাতের পর থেকে ৫২টি জেলায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর হামলার অন্তত ২০৫টি ঘটনা ঘটেছে।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক সজিব সরকার শনিবার গণমাধ্যমকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর এবং দেশত্যাগের পর দেশে কয়েকদিন ধরে সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। দিন সারা দেশে সংখ্যালঘু শিক্ষকদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে এবং তাদের মধ্যে অন্তত 49 জনকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। যাইহোক, তাদের মধ্যে ১৯ জনকে পরে পুনর্বহাল করা হয়েছিল।
সজিব সরকার বলেন, সহিংসতার সময় ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর লুটপাট, নারীদের ওপর হামলা, মন্দির ভাংচুর, তাদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ এবং হত্যার মতো ঘটনাও ঘটেছে।
অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশে ২০০ জনেরও বেশি মৃত্যু হয়েছে
বর্তমানে ৮৪ বছর বয়সী নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। গত সপ্তাহে তিনি দেশটির হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন। ইউনূস আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি প্রচারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে তিনি এমন একটি বাংলাদেশ তৈরি করতে চান যেখানে প্রত্যেকে নির্ভয়ে তাদের ধর্ম পালন করতে পারে এবং যেখানে কোনও মন্দির সুরক্ষার প্রয়োজন হয় না। বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশজুড়ে সহিংসতার ঘটনায় ২৩০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। কোটা পদ্ধতির প্রতিবাদে জুলাই মাসে শুরু হওয়া সহিংসতার পর থেকে মৃতের সংখ্যা ৬০০ ছাড়িয়েছে।