মুর্শিদাবাদ থেকে আসাম পুলিশের বিশেষ শাখা বাংলাদেশের আনসার গোষ্ঠীর (Bangladeshi Terrorists) দুই জঙ্গিকে গ্রেফতার করে কয়েকদিন আগেই। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে (Bangladeshi Terrorists)। তদন্তকারী আধিকারীরা জানিয়েছেন, বেআইনি মাদ্রাসা তৈরি করে কিশোর-কিশোরীর মগজ ধোলাই চলতো (Bangladeshi Terrorists)। অন্যদিক, মহিলাদের নিয়ে স্লিপার সেল বানানোর পরিকল্পনা ছিল জঙ্গিদের (Bangladeshi Terrorists)। তবে কীভাবে জঙ্গিরা স্লিপিং সেলকে ব্যবহারের পরিকল্পনা করেছিল, তা জানায় চেষ্টা করছে গোয়েন্দারা (Bangladeshi Terrorists)।
মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থেকে মনিরুল শেখ ও আব্বাস আলি নামে ২ আনসারউল্লাহ বাংলা জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছিল অসম পুলিশের STF। জিজ্ঞাসাবাদের সময় ওই দুই জঙ্গি জানিয়েছে, মহিলাদের দিয়ে স্লিপার সেল বানানোর পরিকল্পনা ছিল তাদের। ধৃত জঙ্গি মনিরুল শেখের কাছ থেকে বেশ কিছু মহিলার মোবাইল নম্বর পাওয়া যায়। সেই বিষয়ে মনিরুলকে জিজ্ঞাসা করতেই এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে।
কীভাবে মহিলাদের মগজ ধোলাইয়ের কাজ চলতো? ধৃত জঙ্গিরা এই প্রসঙ্গে জানিয়েছে, বিভিন্ন বোরখার দোকানে দোকানদারদের মাধ্যমে মহিলাদের জঙ্গিবাদে মগজধোলাইয়ের চেষ্টা করা হয়েছিল। মহিলাদের মাধ্যমেই জঙ্গিদের কার্যকলাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। যত সহজে পুরুষদের ওপর সন্দেহ করা হয়, তল্লাশি চালানো হয়, তত সহজে মহিলাদের ওপর তল্লাশি চালানো যায় না। তাই মহিলাদের নিশানা করেছিল বাংলাদেশি জঙ্গিরা বলে জানা গিয়েছে।
এই প্রেক্ষিতে গোয়েন্দারা মনে করছেন, সরাসরি নাশকতার কাজে ব্যবহার করার পরিকল্পনা না থাকলেও মহিলাদের দিয়ে হামলার আগে কোনও জায়গার রেইকি বা সমীক্ষা করানো, মহিলাদের দিয়ে গোয়েন্দা তথ্য ও বিস্ফোরক এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল জঙ্গিদের।
অশান্ত বাংলাদেশের মধ্যেই ভারতে একের পর এক বাংলাদেশি জঙ্গি আটক হচ্ছে। বাংলাদেশি জঙ্গিদের কাছ থেকে ভারতীয় জাল পরিচয়পত্র পাওয়া গিয়েছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশি জঙ্গিরা মূলত পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ ও মালদার সীমান্ত ব্যবহার করছে কাঁটাতার অতিক্রম করার জন্য। অন্যদিকে, গোয়েন্দারা আশঙ্কা করেছে, পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত জুড়ে বাংলাদেশের জঙ্গিরা হাব তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এক্ষেত্রে জঙ্গিরা অনেকক্ষেত্রে সাফল্য পেয়েছে বলে জানা গিয়েছে।