গত কয়েক বছরে পালামৌ ব্যাঘ্র প্রকল্প এলাকায় একটি বাঘ ও ছয়টি লেপার্ড (Big Cats were hunted) শিকার হয়েছে। চোরাচালানকারীদের সঙ্গে রাজস্থানের যোগসূত্র রয়েছে এবং রাজস্থানের চোরাচালানকারীরা সবাইকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। পুলিশ ও বন বিভাগ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
কিছুদিন আগে জামশেদপুরে বন বিভাগের একটি দল একটি চিতাবাঘের চামড়া উদ্ধার (Big Cats were hunted) করে। ঘটনার পর গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখেছে বন দফতর। দলটি পালামৌর চৈনপুরের চান্দো এলাকায় অভিযান চালিয়ে জাকির আনসারি, দীনেশ্বর সিং এবং বিজয় রাম নামের তিন চোরাশিকারিকে গ্রেপ্তার করে। দীনেশ্বর সিং পারা একজন শিক্ষক এবং তাঁর বাড়ি থেকে শিকারের সরঞ্জাম ও সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার অভিযুক্তরা বন বিভাগ ও পুলিশের কাছে অনেক বড় তথ্য প্রকাশ করেছে।
গ্রেপ্তার হওয়া চোরাচালানকারীরা জানিয়েছে, ছয় বছর আগে ছয়টি লেপার্ড ও একটি বাঘ একসঙ্গে শিকার (Big Cats were hunted) করা হয়েছিল। সমস্ত আক্রমণ কয়েক দিনের মধ্যে ঘটেছিল। তদন্তে উঠে এসেছে একাধিক তথ্য।
রাজস্থানের শিকারীরা প্রশিক্ষণ দিতেন
গ্রেপ্তার হওয়া তিন পাচারকারী বন বিভাগ এবং পুলিশকে জানিয়েছে যে তারা সকলেই প্রায় ১০ বছর আগে রাজস্থানের শিকারীদের দ্বারা প্রশিক্ষিত হয়েছিল। বাঘ, লেপার্ড এবং বন্য প্রাণী শিকারের (Big Cats were hunted) জন্য সমস্ত হাই-টেক স্প্রিং ট্র্যাপ ব্যবহার করত। শিকারের পর লেপার্ড ও বাঘের চামড়া পাচার করা হত। অভিযুক্তরা রাজস্থানের এক শিকারীর সরঞ্জাম চুরি করে তা দিয়ে শিকার করত। গ্রেপ্তার হওয়া চোরাচালানকারী বিজয় বন বিভাগের কর্মকর্তাদের জানিয়েছে যে একটি লেপার্ড তার বাছুরকে শিকার করেছিল। তারপর সে লেপার্ডটিকে মেরে ফেলে। জামশেদপুরের আমের রেঞ্জ অফিসার দিগ্বিজয় সিং, লাতেহারের গ্রেয়ার ওয়েস্টের রেঞ্জ অফিসার তরুণ কুমার, ইস্টার্ন ফরেস্ট রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার উমেশ কুমার দুবের নেতৃত্বে একটি দল এবং চৈনপুর পুলিশ স্টেশনের একটি দল এই অভিযান চালায়।