বাংলাদেশের (Bangladesh) পাঁচ কিলোমিটার এলাকা ভারতের কবলে থাকার অভিযোগ ঘিরে সীমান্তে উত্তেজনা ছড়ালেও বিএসএফ স্পষ্ট জানিয়ে দিল, এমন কোনও (Bangladesh) ঘটনা ঘটেনি। বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক সীমান্ত চিহ্নিতকরণ পিলার অনুযায়ী কোদালিয়া নদীর ওই এলাকা ভারতের অংশ (Bangladesh) এবং সেখানে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর ভূমিকা অটুট রয়েছে (Bangladesh) ।
বিএসএফ তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, “উল্লেখিত ৫ কিলোমিটার এলাকা উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা ব্লকে রয়েছে। এই এলাকা ভারতীয় ভূখণ্ড এবং আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার দিয়ে সঠিকভাবে চিহ্নিত। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত চুক্তি অনুযায়ী সমস্ত নিয়ম মেনে কাজ করা হচ্ছে।” বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “বিজিবি এবং বিএসএফ উভয়ই শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের দায়িত্ব পালন করছে। ভারতের এক ইঞ্চি জমিও দখল হয়নি।” এর আগে একটি সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, বাংলাদেশের মহেশপুর এলাকার কোদালিয়া নদীর পাঁচ কিলোমিটার জায়গা বিজিবি তাদের বলে দাবি করেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছিল, বিজিবি নাকি সেখানে নিজেদের দখল প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বাংলাদেশের মাছ ধরা নিয়ে সীমান্তে সমস্যা চলছিল।
বিজিবির ক্যাপ্টেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল আজিজুস শাহিদ এক বিবৃতিতে দাবি করেছিলেন, “কোদালিয়া নদীর পাঁচ কিলোমিটার এলাকাটি বাংলাদেশের এবং এটি ফের তাদের অধীনে এসেছে। বিজিবির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বিএসএফ জানিয়েছে, ওই এলাকা কখনোই বাংলাদেশি ভূখণ্ড ছিল না। বরং, ১৯৭৫ সালের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত নির্দেশিকা মেনে সীমান্তে সমস্ত কাজকর্ম চালানো হচ্ছে।
বিএসএফ এবং বিজিবি, দুই পক্ষই সীমান্ত এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে সচেষ্ট। বিএসএফের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অতীতে যেমন পরিস্থিতি ছিল, তেমনই বর্তমানেও ভারতীয় সীমানা সুরক্ষিত রয়েছে। বিজিবির অভিযোগ ও মিডিয়া রিপোর্টের প্রেক্ষিতে বিএসএফের এই বিবৃতি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে সমস্ত বিভ্রান্তি দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।