স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সন্ধ্যায় একটি নোটিশ জারি করেছে এবং সারা দেশে CAA কার্যকর করেছে (CAA Implement)। এর পরে জামিয়া, শাহীনবাগ এবং এএমইউতে কঠোর নিরাপত্তা দেখা গিয়েছে, যা ২০১৯ সালের CAA-NRC বিক্ষোভের কেন্দ্র ছিল।
National Desk: গোটা দেশে নাগরিকত্ব আইন (CAA) কার্যকর হয়েছে (CAA Implement)। সিএএ এমন সময়ে কার্যকর করা হচ্ছে যখন দেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে পাশাপাশি রমজান মাসও শুরু হতে চলেছে। এমন সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হওয়ায় দেশজুড়ে এই নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। নয়াদিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, শাহীন বাগ এবং এএমইউতে এই খবরের পরে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে, যেগুলি ২০১৯ সালের CAA, NRC বিক্ষোভের কেন্দ্র ছিল।
জামিয়ার ছাত্ররা বিক্ষোভ করে
সিএএ আইন কার্যকর হওয়ার(CAA Implement) কয়েক ঘন্টা পরে, জামিয়ার কিছু ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যান্টিনে জড়ো হয়েছিল এবং সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। এই প্রতিবাদ ডেমোতে, ছাত্ররা ঘোষণা করেছিল যে আমরা জামিয়ার ছাত্ররা সিএএ, এনআরসি নিয়ে আমাদের অবস্থানে অটল,২০১৯সালে আমাদের প্রতিবাদ শুরু হওয়ার পরে, শাহীনবাগে এবং পরে গোটা দেশ জুড়ে ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা হয়েছিল। আমরা আবারও এর প্রতিবাদ করব। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে রাস্তায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়।
Fraternity JMI, along with MSF, actively participated in the protest opposing the implementation of CAA. Jamia Millia students incinerated CAA Act. Firmly asserting its stance, Fraternity JMI declares its unwavering commitment to preventing the implementation of CAA.#rejectcaa pic.twitter.com/MiOXnLGcYp
— Fraternity Movement JMI (@Ftyjmi) March 11, 2024
শাহীনবাগে পুলিশের পতাকা মিছিল
দেশের দীর্ঘতম সিএএ-এনআরসি বিক্ষোভ শাহীনবাগে ১০১ দিন ধরে চলে। নয়ডা সীমান্ত সংলগ্ন দিল্লির শাহীনবাগে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। বিক্ষোভস্থলের পাশের খাবারের বাজারে রমজানের উত্তেজনা দেখা গেলেও কোথাও কোনো প্রতিবাদ দেখা যায়নি। এছাড়াও শাহীনবাগের রাস্তায় ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন দেখা গেছে। শাহীনবাগে ফ্ল্যাগমার্চও করেছে পুলিশ।
এএম ইউ তে শান্তি ছিল
২০১৯ CAA-NRC আন্দোলনের সময়, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রচুর সংখ্যক বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে। কিন্তু সোমবার এ বিল বাস্তবায়নের ((CAA Implemen) পর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনো আন্দোলন দেখা যায়নি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের প্রস্তুতি দেখা গেছে।