Calcutta High Court: কাজে যোগ দেওয়ার আগেই বাতিল হয়ে গেল চাকরি! হাইকোর্টের যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত

কাজে যোগ দেওয়ার আগেই চাকরি বাতিল করল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। দুর্নীতির অভিযোগ উঠতেই বাতিল হয়ে গেল কাজ (Calcutta High Court)। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এক নিরাপত্তা এজেন্সিকে বেআইনিভাবে কাজের বরাত দেওয়া হয়েছিল। হাইকোর্টের(Calcutta High Court)  দ্বারস্থ হয়েছিল অভিযোগকারী। শেষ পর্যন্ত সেই বরাত বাতিল করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।

সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে নিরাপত্তাকর্মীদের দ্রুত মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ থেকে দ্রুত সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। যার ফলে কাজে যোগ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফিরে যেতে হচ্ছে নিরাপত্তা কর্মীরা।  চলতি বছরের সেপ্টেম্বরই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ৭৪ জন সিকিউরিটি গার্ড নিয়োগের জন্য একটি নির্দেশিকা জারি করে একটি বেসরকারি সংস্থা।  প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের পরে মঙ্গলবার কাজ যোগ দিয়েছিলেন নিরাপত্তা কর্মীরা। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশ আসতেই তাঁদের ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে সম্মত হয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এই প্রসঙ্গে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান,  গোটা বিষয়টি ডিরেক্টরেট অব মেডিকেল এডুকেশনের আওতাধীন হওয়ার কারণে এই টেন্ডার সম্বন্ধে কিছুই জানেন না তিনি।

অন্যদিকে, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ডেপুটি সুপার আখতার আলিও নিরাপত্তার এজেন্সি নিয়োগ করে দুর্নীতির অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, অবৈধ উপায়ে নিরাপত্তা এজেন্সিকে বরাত দেওয় হয়েছে। এই বিষয়েও তিনি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি সরাসরি বলেছেন, আর কোনও সন্দীপ ঘোষ তিনি হতে দেবেন। প্রসঙ্গত, আরজি করে দুর্নীতির অভিযোগ করে তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তারই তদন্ত করতে গিয়ে সিবিআই সন্দীপ ঘোষ, আশিষ পাণ্ডে সহ আরও চারজনকে গ্রেফতার করেছে। সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির সরাসরি প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। জানা গিয়েছে, আরজি করে সন্দীপ ঘোষের ডান হাত ছিল আশিস পাণ্ডে। তাঁর মাধ্যমেই সন্দীপ ঘোষ আরজি করে দুর্নীতির সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিলেন। আশিস পাণ্ডের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগের সরাসরি প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। সিবিআই সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে MBBS সিলেকশনের দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন।