খবর এইসময় ডেস্ক: একজন শিক্ষার্থীর জীবনে শিক্ষকের ভূমিকা অপরিসীম। শিক্ষকরা জাতির ভবিষ্যৎ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, তাদের জ্ঞানের আলোতেই একজন আদর্শ নাগরিকের জন্ম হয়। আমরা জীবনের যে পর্যায়েই থাকি না কেন, একজন প্রকৃত শিক্ষকের প্রয়োজন আমাদের সবসময় থাকে। আর আমাদের সাফল্যের পেছনে তাদেরই বড় অবদান রয়ে যায়।
কিন্তু আজ এমন একটি ঘটনার কথা আমরা শোনাব যা শুনলে হয়ত আপনার মন থেকে বিশেষ ধরনের সেই শিক্ষকদের উপর থেকে শ্রদ্ধা ভক্তি উঠে যাবে।
ক্লাস টুয়ের এক ছাত্র নাম অখিথ। কতই বা তার বয়স হবে! আজ ক্লাস চলাকালীন স্কুলের ইউনিফর্ম (School Uniform) পরা অবস্থাতেই সে মলত্যাগ করে ফেলে। সেই দেখে রেগে গিয়ে তার গায়ে গরম জল (Hot Water) ঢেলে দেন শিক্ষক! চমকে ওঠার মতো এমন ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকে (Karnataka)। জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রের শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। তাকে লিঙ্গসাগুরু তালুক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
কর্নাটকের রাইচুর জেলার সান্তেকাল্লুর গ্রামে ঘনামাথেশ্বরা গ্রামীনা সামস্তে নামে একটি সংস্থা দ্বারা পরিচালিত একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র অখিথ স্কুলে মলত্যাগ করে ফেলে। তার ইউনফর্ম নোংরা হয়ে যায়। অখিথ তার ইউনিফর্মে মলত্যাগ করে ফেলেছে, এটা জানতে পেরেই হুলিগেপ্পা নামে ওই শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। শিশুটির গায়ে পাইপ দিয়ে গরম জল ঢেলে দেন। পুড়ে যায় অখিথের শরীর।
আখিথের বাবা-মা স্থানীয় নেতাদের কাছ থেকে ফোন পেয়ে স্কুলে যান। এরপর সন্তানকে লিঙ্গাসাগুরু তালুক হাসপাতালে ভর্তি করেন। অখিথের অবস্থা গুরুতর বলে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে। সূত্র জানিয়েছে, এ ঘটনায় পরিবারকে অভিযোগ না করার হুমকি দেওয়া হয়েছে স্কুলের তরফে।
এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ না পেলে তারা কোনও ব্যবস্থা নেবে না। রাজ্যের মহিলা ও শিশু কল্যাণ দফতরের আধিকারিকরাও গোটা ঘটনা নিয়ে নীরব রয়েছেন। ঘটনার পর থেকে স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন অভিযুক্ত শিক্ষক।