নিজস্ব প্রতিনিধ, পূর্ব মেদিনীপুর: শিল্পনগরী হলদিয়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনসভার আগে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে উঠল জেলার বিভিন্ন এলাকা। ফ্ল্যাগ ও ফেস্টুন ছেঁড়া এবং জনসভায় যোগ দিতে আসা বিজেপি কর্মীদের উপরে হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম আমদাবাদ এলাকার। হামলায় পাঁচ বিজেপি কর্মী জখম হয়েছেন বলে অভিযোগ। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যদিও হামলার অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতারা।
বিজেপির অভিযোগ, পূর্ব মেদিনীপুরের শিল্পনগরী হলদিয়ায় আজ মোদীর সভা। বিজেপি কর্মীদের নিয়ে যাওয়ার জন্য আমদাবাদের নতুন বাজার এলাকায় দাঁড়িয়ে ছিল বাস। সে জন্য সেখানে হাজির হয়েছিলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। তখনই তৃণমূল আশ্রিত একদল দুষ্কৃতী তাঁদের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। কাঠের তক্তা, লোহার রড, ধারালো অস্ত্র নিয়ে তারা হামলা চালায় বলে দাবি। অভিযোগ, এতেই পাঁচ বিজেপি কর্মী জখম হন। তাঁদের উদ্ধার করে নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তমলুক জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে খবর।
তমলুক সংগঠনিক জেলার বিজেপি সহ-সভাপতি প্রলয় পাল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগ দিতে যাওয়ার জন্য বিজেপি কর্মীরা বাসে উঠবেন বলে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তখনই তাঁদের উপর হামলা চালানো হয়। পাঁচ কর্মীকে উদ্ধার করে তমলুক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি।’ যদিও এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূল নেতা সেখ সুফিয়ান বলেন, ‘বিজেপি কর্মীদের কেউ মারধর করেনি। বরং আমাদের কর্মীদের মারধর করা হয়েছে। তৃণমূল কর্মীরা হাসপাতালে ভর্তি। আমরা পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি।’
নন্দীগ্রাম থানার এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত কোনও পক্ষই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে ঘটনার তদন্ত করা হবে।’
ত্রিপুরা: পারিবারিক বিবাদের জেরে গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন এক গৃহবধূ। দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার বিলোনিয়া থানার ঋষ্যমুখ ব্লকের সোনাইছড়ি রাজারামবাড়ি এডিসি ভিলেজ এলাকার বাসিন্দা বছর ৩২-এর ওই বধূর নাম নতুন লক্ষী ত্রিপুরা।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে গায়ে আগুন লাগান তিনি। আগুন লাগার খবর পেয়ে অগ্নিনির্বাপণ কেন্দ্রের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে গৃহবধূকে উদ্ধার করেন। তাঁকে বিলোনিয়া মহাকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা গোমতী জেলা হাসপাতালে রেফার করেন। বধূর এক আত্মীয় জানান, এলাকারই একটি বিয়ে বাড়িতে নিমন্ত্রণ খেয়ে আসার পর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বচসা বাধে। তাঁরা নিমন্ত্রণ বাড়িতে খেয়ে এলেও ছেলে-মেয়েদের জন্য কেন ভাত রান্না করা হলো না, এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বাধে। এর পরেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি।