Earthquake: দিল্লি-এনসিআর সহ কেঁপে উঠল উত্তর ভারত, আতঙ্ক ছড়াল মানুষের মধ্যে

সোমবার সকাল ৫.৩৬ টায় দিল্লি-এনসিআর সহ উত্তর ভারত জুড়ে শক্তিশালী কম্পন (Earthquake) অনুভূত হয়েছিল। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ৪.০ ছিল বলে জানিয়েছে ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল ধৌলা কুয়ানের কাছে লেক পার্কের কাছে।

কম্পনের তীব্রতা (Earthquake) এতটাই ছিল যে লোকজন বাড়ি থেকে বের হয়ে আসে। গাছের উপর বসে থাকা পাখিরাও জোরে শব্দ করে চারপাশে উড়তে শুরু করে। এর কেন্দ্রস্থল ছিল নয়াদিল্লিতে পাঁচ কিলোমিটার গভীরে। এটি ২৮.৫৯ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৭৭.১৬ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত ছিল। দিল্লি-এনসিআর-এ এর প্রভাব আরও বেশি অনুভূত হয়েছিল কারণ গভীরতা কম ছিল এবং উপকেন্দ্রটি ছিল দিল্লিতে।

উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়ানার কিছু অংশে শক্তিশালী কম্পন অনুভূত

দিল্লি-এনসিআর, পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড় এবং উত্তরপ্রদেশে কম্পন (Earthquake) অনুভূত হয়েছে। হরিয়ানার কুরুক্ষেত্র, হিসার ও কৈথালে কম্পন অনুভূত হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর পাওয়া যায়নি।

হেল্পলাইন নম্বর জারি করেছে দিল্লি পুলিশ

এদিকে, প্রবল কম্পনের (Earthquake) পর দিল্লি পুলিশ একটি জরুরি হেল্পলাইন নম্বর জারি করেছে। দিল্লি পুলিশ এক্স-এ পোস্ট করেছে, “আশা করি আপনারা সবাই নিরাপদে আছেন। যে কোনও জরুরি অবস্থার জন্য ১১২ নম্বরে কল করুন।

অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আবেদন

দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল টুইটারে লিখেছেন, “আমি সকলের সুরক্ষার জন্য প্রার্থনা করছি। আম আদমি পার্টির নেত্রী আতীশি ট্যুইট করে জানিয়েছেন, “দিল্লিতে সবেমাত্র শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি সবাই যেন নিরাপদে থাকেন।”

পুরো বিল্ডিং কেঁপে ওঠে

গাজিয়াবাদের এক বাসিন্দা বলেন, ভূমিকম্প (Earthquake) খুব শক্তিশালী ছিল। আমার আগে কখনও এমন অনুভূতি হয়নি। পুরো বিল্ডিং কেঁপে ওঠে। দিল্লি রেলস্টেশনে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করা এক যাত্রী বলেন, ভূমিকম্প স্বল্পস্থায়ী ছিল কিন্তু তীব্রতা খুব বেশি ছিল। মনে হচ্ছিল খুব দ্রুতগতিতে একটা ট্রেন আসছে। রেলস্টেশনের একজন বিক্রেতা অনীশ বলেন, সবকিছু কাঁপছিল। খুব তাড়াতাড়ি হয়ে গেল। গ্রাহকরা কাঁদতে শুরু করেন।

ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করা আরেকজন ব্যক্তি বলেন, “আমাদের মনে হচ্ছিল যেন একটি ট্রেন মাটির নিচে চলছে… সবকিছু কাঁপছে।