আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির (ম্যাকাউট) হরিণঘাটা ক্যাম্পাসের এক অধ্যাপিকার ‘বিয়ে’র ভিডিও (Viral Video) সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর বিতর্কের ঝড় উঠেছে। ভিডিওতে (Viral Video) দেখা যাচ্ছে, লাল বেনারসি পরিহিত অধ্যাপিকার গলায় মালা, আর এক ছাত্র তাঁর সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দিচ্ছেন। এই দৃশ্য ঘিরেই শুরু হয়েছে চর্চা (Viral Video) ।
অভিযুক্ত অধ্যাপিকা দাবি করেছেন, এটি সত্যিকারের বিয়ে নয়, বরং ফ্রেশার পার্টির জন্য তৈরি একটি নাটকের অংশ। তাঁর অভিযোগ, তাঁকে বিপদে ফেলতেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভিডিওটি ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অধ্যাপিকার দাবি, বিভাগের এক ‘বন্ধু’ তাঁকে সরিয়ে বিভাগীয় প্রধানের পদ দখল করতে চান এবং সেই লক্ষ্যেই এই অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন যে, এই ব্যক্তিই ছাত্রদের ব্ল্যাকমেলের অভিযোগ চাপা দিতে চাইছেন।
সেই ভিডিয়োটি সামনে আসার পরই ওই অধ্যাপিকাকে ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য তাপস চক্রবর্তীর দাবি, অধ্যাপিকার বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে। যদিও ওই ‘ছাত্র’-র হদিশ মেলেনি। তারইমধ্যে অধ্যাপিকা দাবি করেছেন যে কলেজের ফ্রেশার পার্টিতে একটি নাটক করার পরিকল্পনা করেছিলেন পড়ুয়ারা। তাতে অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদেরও যোগ দিতে আহ্বান করা হয়েছিল। আর সেই বিয়ের দৃশ্যটা ওই নাটকেরই অংশ ছিল বলে দাবি করেছেন অধ্যাপিকা।
সেইসঙ্গে অধ্যাপিকা দাবি করেছেন, যাঁকে হাতে ধরে কাজ শিখিয়েছেন, তিনি যে স্রেফ বিভাগীয় প্রধান হওয়ার লোভে এতটা নীচে নেমে যাবেন, সেটা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি। যিনি পিছন থেকে তাঁকে ছুরি মেরেছেন, তিনিও বেশি লাভবান হতে পারবেন না বলে দাবি করেছেন অধ্যাপিকা। তাঁর কথায়, ‘অন্যের ক্ষতি করে কোনওদিন এগিয়ে যাওয়া যায় না।’
এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ হলে স্পষ্ট হবে, এটি নিছকই নাটকের অংশ নাকি এর পেছনে অন্য কোনও উদ্দেশ্য লুকিয়ে রয়েছে।