পশ্চিম মেদিনীপুরে বন্যা পরিস্থিতি (Flood Situation) ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এখনও পাঁশকুড়ার একাধিক জায়গায় বন্যা পরিস্থিতি (Flood Situation) ভয়াবহ। বন্যা কবলিত পাঁশকুড়ার কনকপুরেও (Flood Situation) খোলা হয়েছে অভয়া ক্লিনিক। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক, নার্স মিলিয়ে ৪০ জন মেডিক্যাল ক্যাম্পে এসেছেন। পাঁশকুড়ার গড় পুরুষোত্তমপুর, যেখানে কংসাবতী নদীর বাঁধ ভেঙেছিল (Flood Situation), এদিনও সেখানেও (Flood Situation) মেডিক্যাল ক্যাম্প করা হয়। অন্যদিকে, ঘাটালে বন্যা পরিস্থিতি (Flood Situation) খতিয়ে দেখতে গেলেন দেব। ঘাটালে বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি।
ঘাটালে স্পিড বোট করে বন্যা কবলিত (Flood Situation) এলাকা ঘুরে দেখেন দেব। এখনও জলমগ্ন ঘাটালের বিস্তীর্ণ (Flood Situation) এলাকা। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে রয়েছে ঘাটালের একাধিক এলাকা। মোবাইলের নেটওয়ার্কও বিপর্যস্ত। ঘাটালে খাবারের সঙ্গে পানীয় জলের তীব্র আকাল দেখতে পাওয়া গিয়েছে। ঘাটালের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে সব থেকে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি।
অন্যদিকে, ৫ দিন কেটে গেলেও এখনও জলমগ্ন হুগলির খানাকুল। । মারোখানা, পানশিউলি, জগৎপুর, গড়েরঘাট, বন্দর, ধান্যঘোড়ি, ঘোড়াদহ, পোল-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা এখন জলের তলায়। রাস্তায় এক বুক সমান জল। খানাকুলের অনেকে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। অনেকে ছাদে আশ্রয় নিয়েছেন। জল পেরিয়ে খানাকুলের বাসিন্দাদের ত্রাণ সংগ্রহ করতে হচ্ছে। মাঝে খানাকুলের একাধিক ত্রাণ শিবিরে জল উঠতে শুরু করেছিল। তবে ডিভিসি নতুন করে জল না ছাড়ায়, নতুন করে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হয়নি।
তবে খানাকুলে ত্রাণ নিয়ে সমস্যা হয়। ত্রাণ শিবিরে পর্যাপ্ত খাবার ও পানীয় জল মিলছে না। তারজেরেই বন্যা প্লাবিত মানুষ বিক্ষোভ দেখান। ক্ষোভে ফেটে পড়েন। নৌকা ভর্তি করে চিড়ে, গুড়, মুড়ি, বিস্কুট, বেবিফুড ও পানীয় জলের পাউচ নিয়ে খানাকুলের মাইনান,শঙ্করপুর,পোল ১ সহ বেশ কয়েকটি গ্রামে জল পেরিয়ে ঘুরেছেন আরামবাগের সাংসদ। এদিন বন্যা কবলিত এলাকায় মানুষদের খিচুড়ি ও সেদ্ধ ডিম দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।