একদিকে প্রবল বৃষ্টিপাত ও অন্যদিকে জল ছেড়ে ডিভিসি (Flood Situation)। যার জেরে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতি (Flood Situation) ভয়াবহ আকার নিয়েছে। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের একাধিক জেলাতে বন্যা পরিস্থিতি (Flood Situation) পর্যবেক্ষণ করতে যান। অন্যদিকে, বীরভূমে পুলিশ সুপার সহ একাধিক শীর্ষস্থানীয় আধিকারিকরা বন্যা পরিস্থিতি (Flood Situation) পর্যবেক্ষণ করতে যান। আচমকা স্পিড বোড উল্টে গেলে সবাই জলে পড়ে যান। দ্রুত উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। তবে জানা গিয়েছে, প্রশাসনের এক আধিকারিক বন্যার জলে (Flood Situation) তলিয়ে গিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, বন্যা পরিস্থিতি (Flood Situation) ভয়াবহ আকার নেওয়ায় বিভিন্ন অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। রাস্তা বা নদী বলে আলাদা কিছু বোঝার উপায় নেই। তাই পরিস্থিতি (Flood Situation) খতিয়ে দেখতে নৌকা করে প্রশাসনের শীর্ষ স্থানীয় আধিকারিকরা যান। সেই সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে। বীরভূমের কুয়ে নদীতে বন্যার জলের তোড়ে স্পিড বোট উল্টে যায়। যার জেরে প্রশাসনের সমস্ত আধিকারিকরা জলে পড়ে যান। পরিস্থিতি দেখে উদ্ধারে নামেন বন্যা প্লাবিত স্থানীয় বাসিন্দারা। দ্রুত প্রশাসনের আধিকারিকদের উদ্ধার করার চেষ্টা হয়। লক্ষ্য রাখা হয়, বন্যার জলের তোড়ে তাঁরা যেন তলিয়ে না যান। খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তাঁরাও ঝাঁপিয়ে পড়েন উদ্ধার কাজে। উদ্ধার কাজে নেমে নদীর ভয়াল রূপ দেখে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রায় সমস্ত আধিকারিককে উদ্ধার করা গিয়েছে। তবে একজন প্রশাসনিক আধিকারিক বন্যার জলে তলিয়ে গিয়েছেন। সাক্ষাৎ মৃত্যুর কাছ থেকে ফিরে আসে উদ্ধার হওয়া প্রশাসনিক আধিকারিকরা মানসিক ও শারীরিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন হুগলির পাশাপাশি পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে যান। সেখানে গিয়ে তিনি বলেন, “আগামী দুই বছরের মধ্যে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ শেষ হবে। এর জন্য ব্যয় হবে দেড় হাজার কোটি টাকা। এই সব টাকা দেবে রাজ্য সরকার।”