পল্লব হাজরা, বিধাননগর: বৃহস্পতিবার প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর সল্টলেকের বাড়িতে সকাল ৬টা থেকে ইডির (ED) ম্যারাথন তল্লাশি পর শুক্রবার ভোর রাতে গ্রেফতার (Arrest )হলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক( Jyotipriya Mallick )। মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ বাকিবুর (Bakibur)রহমানকে আগেই গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (ED)। ইডি সূত্রে খবর বাকিবুর ও তার আত্মীয়ের সম্পত্তি পরিমাণ ছাড়িয়েছে পায় ১০০কোটি। পাশাপাশি মিলেছে জমির হাদিস। তারই সূত্র ধরে তদন্তে নাম উঠে এসেছে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর।
রেশন বন্টন বিষয়ক দুর্নীতির তদন্তে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় সল্টলেকের বিসি ব্লকের বাড়িতে পৌঁছন ইডি আধিকারিকরা। গোটা বাড়ি ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বিজয়ার শুভেচ্ছা বার্তা নিয়ে আসলে ফিরেয়ে দেওয়া হয় বিধাননগর পুরনিগমের চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্তকে। সব্যসাচী দত্ত সহ বেশ কিছু নেতৃত্ব মন্ত্রীর সাথে দেখা না করেই ফিরে যান। সল্টলেক ছাড়াও বনমন্ত্রীর পৈত্রিক বাড়িতেও হানা দেয় কেন্দ্রীয় এজেন্সি। পাশাপাশি নাগেরবাজারে মন্ত্রীর আপ্তসহাকের বাড়িতেও পৌঁছে যায় ইডির আধিকারিকরা। সন্ধ্যা নামতেই বিসি ব্লকের বাড়িতে বাড়ানো হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। টানা ২১ ঘন্টা তল্লাশির পর শুক্রবার ভোর ৩:৩০ ইডির হাতে গ্রেফতার হন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। রেশন দুর্নীতি মামলায় এই প্রথম কোন মন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হলো।
গ্রেফপ্তারির পর চক্রান্তের শিকার হয়েছেন তিনি এমনটাই দাবি করতে থাকেন মন্ত্রী।সকাল ৮:৩৫ ইডির দপ্তর সিজিও কমপ্লেক্স থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানেও ফের বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা যায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। তার দাবি তিনি চক্রান্তের শিকার যার নেপথ্যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
যদিও গ্রেফতারির পর খোঁচা দিতে দেরি করেনি বিরোধীরা। আরও বহু লোক হয়তো আছে এর নেপথ্যে। জ্যোতিপ্রিয়র গ্রেপ্তারির প্রসঙ্গে এমনটাই বললেন দিলীপ ঘোষ। দ্রুত বাংলাকে দুর্নীতি মুক্ত করার ডাক দিয়েছেন তিনি।
এক্স হ্যান্ডেলে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী লেখেন ‘এর পর হয়তো মন্ত্রিসভার বৈঠক ও বিধানসভার অধিবেশন জেলের মধ্যে ডাকতে হবে’।
এদিন স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে আদালতে নিয়ে যাওয়া হবে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীকে। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবেন ইডি অধিকেরা। বাকিবুরের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা হতে প্রাক্তন খাদ্যেমন্ত্রীর বাড়ছে তারই সম্ভাবনা।