রাজ্যপালের ডাকে সাড়া দিয়ে দীর্ঘ কয়েক মাস পর রাজভবনে মুখোমুখি হলেন রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রী(Governor-Chief Minister conflict)। বিকেল ৫:৫৪ মিনিটে রাজভবনে প্রবেশ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়। সিভি আনন্দ বোসের সাথে প্রায় আধ ঘন্টা কথোপকথন হওয়ার পর বেরিয়ে আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবাদিকের মুখোমুখি না হলেও সূত্রের খবর রাজভবনে আটকে থাকা রাজ্যের বিভিন্ন নথির জটিলতা কাটিয়ে দ্রুত নিষ্পত্তি করার অনুরোধ জানান মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, সিভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose) রাজ্যপালের আসনে বসার সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Governor-Chief Minister conflict) সাথে ভালো সম্পর্ক ছিল। বাংলা বিষয়ক পাঠ নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যপাল। ২০২৩ সালে সরস্বতী পুজোয় হাতিখড়ি অনুষ্ঠানে আয়জন করেন বোস। তার হাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বর্ণপরিচয় তুলে দিতে দেখেছে রাজ্যবাসী।
তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসায় রাজ্যের প্রতি যথেষ্ট ক্ষুব্ধ হন রাজ্যপাল। বরানগর ও ভগবানগোলা উপ নির্বাচনে জয়ী প্রার্থীর শপথ বাক্য পাঠে চলে বিস্তর দড়ি টানাটানি। সিভি আনন্দ বোস রাজভবনের অন্দরে শপথের আহবান জানালেও তাতে রাজি হননি বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন।
যদিও এবার চিত্রে এসেছে বদল। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ৬ বিধায়ককে বিধানসভায় এসে শপথ বাক্যপাঠ করান রাজ্যপাল। এমনকি ৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগে রাজ্যে সরকারের সুপারিশে সিলমোহর দিয়েছেন সিভি আনন্দ বোস।
সোমবার বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের বৈঠকে অনেকটাই বরফ গলার ইঙ্গিত মিলেছে। তবে কতদিন পর্যন্ত বজায় থাকবে তা নিয়ে যথেষ্ট কৌতূহলী রাজনৈতিক মহল।