নির্বাচনী বিধি মেনেই থামল হরিয়ানায় ভোটের (Haryana Election) প্রচার। রাজ্যের ৯০টি আসনে ভোট হবে ৫ অক্টোবর। তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করছে বিজেপি। অপরদিকে, কংগ্রেস এক দশকের দীর্ঘ বিরতির পর ক্ষমতায় ফিরে আসার আশা করছে। হরিয়ানায় ৯০টি বিধানসভা আসন রয়েছে, সেখানে এক দফায় ভোট হবে। নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হবে ৮ অক্টোবর। হরিয়ানায় দুই কোটিরও বেশি ভোটার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
৩ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬ টায় প্রচার (Haryana Election) শেষ হওয়ার কয়েক ঘন্টা আগে, প্রধান দলগুলি বিজেপি, কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি, আইএনএলডি-বিএসপি এবং জেজেপি-আজাদ সমাজ পার্টি সমাবেশ ও রোডশো করে ভোটারদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করে। নির্বাচন কমিশনের মতে, মোট ২০,৬২৯টি ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। ১০১ জন মহিলা সহ মোট ১০৩১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। উল্লেখযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নায়েব সিং সাইনি (লাডওয়া), বিরোধী দলনেতা ভূপিন্দর সিং হুডা (গড়ি সাম্পলা-কিলোই), আইএনএলডি-র অভয় সিং চৌটালা (এলেনাবাদ), জেজেপি-র দুষ্যন্ত চৌটালা (উচানা কালান), বিজেপির অনিল ভিজ (আম্বালা ক্যান্টনমেন্ট), ও পি ধনকর (বাদলি) এবং কংগ্রেসের ভিনেশ ফোগাট (জুলানা)। স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবিত্রী জিন্দাল (হিসার), রঞ্জিত চৌটালা (রানিয়া) এবং চিত্রা সরওয়ারা (আম্বালা ক্যান্টনমেন্ট)-ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বিজেপি তার নির্বাচনী প্রচারে (Haryana Election) ডাবল ইঞ্জিন সরকারের কাজ এবং পারফরম্যান্সের উপর জোর দিয়েছিল। সংরক্ষণ, দুর্নীতি, তুষ্টিকরণ এবং বংশবাদের রাজনীতির মতো বিষয়গুলি নিয়েও কংগ্রেসকে নিশানা করা হয়। নারী, যুবক, কৃষক এবং দরিদ্র সম্পর্কিত বিষয়গুলি উভয় প্রধান দলের নির্বাচনী (Haryana Election) ইশতেহারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বিজেপির প্রচারাভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, যিনি চারটি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। মোদী তাঁর ভাষণে কংগ্রেসকে বিভিন্ন ইস্যুতে আক্রমণ করেন এবং বলেন যে তারা রাম মন্দির ইস্যু সহ দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি বিষয়কে ঝুলে রেখেছে। কৃষক, দরিদ্র, দলিত এবং অনগ্রসর শ্রেণী সহ বিভিন্ন শ্রেণীর কল্যাণে কেন্দ্র ও হরিয়ানায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে মোদী ভোটারদের কাছে রাজ্যের দ্রুত উন্নয়নের জন্য বিজেপিকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানান।
বিজেপি-কে আক্রমণ করে কংগ্রেস নেতা (Haryana Election) রাহুল গান্ধী মোদী সরকারকে সংবিধানের উপর আক্রমণ করার জন্য অভিযুক্ত করেন এবং বেকারত্ব, অগ্নিবীর যোজনা, কৃষকদের কল্যাণ সহ বিভিন্ন বিষয়ে এর সমালোচনা করেন। রাহুল গান্ধী আরও অভিযোগ করেন, সরকার দেশের হাতে গোনা কয়েকজন ধনী মানুষের জন্য কাজ করছে। তিনি বলেন, সংবিধান দরিদ্রদের রক্ষা করে এবং “আরএসএসের লোকেরা সংবিধানকে দুর্বল করতে চায়”। বিজেপি দেশে ধর্ম ও বর্ণের ভিত্তিতে ঘৃণা ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করে রাহুল বলেন, তাঁর দল ঘৃণাকে জিততে দেবে না। তিনি হরিয়ানায় বেকারত্ব এবং মাদকের সমস্যা নিয়েও কথা বলেছেন।