হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল (Haryana Election Results) প্রকাশিত হয়েছে এবং বিজেপি মোট ৪৮টি আসন এবং ৩৯.৯৪ শতাংশ ভোট ভাগ নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য সরকার গঠন করতে চলেছে। কিন্তু ফলাফল একেবারেই আশা করেনি কংগ্রেস। দাবি করা হয়েছিল যে এবার ভোটারদের মধ্যে সরকার বিরোধী মনোভাব রয়েছে। কৃষক, যুবক-যুবতীরা সকলেই বিজেপির উপর ক্ষুব্ধ এবং কংগ্রেস এর থেকে উপকৃত হবে, কিন্তু ঘটেছে উল্টোটা।
সব বুথফেরত সমীক্ষায় একই কথা বলছিল, কিন্তু এবার বিজেপি ২০১৪-এর মোদী ঢেউয়ের থেকে বেশি আসন পেয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষমতায় ফিরে আসার অপেক্ষায় থাকা কংগ্রেস বড় ধাক্কা খেয়েছে।
ভোট গণনার শুরুতে কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা ‘৬০ আসন পার’-এর স্লোগান দিয়ে উদযাপন শুরু করে। তবে, সময় এগোনর সঙ্গে সঙ্গে এই উদযাপন ম্লান হয়ে যায় এবং শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস মাত্র ৩৭টি আসন জিততে (Haryana Election Results) সক্ষম হয়। এর ফলে হরিয়ানায় কংগ্রেসের জন্য ক্ষমতায় ফেরার জন্য আরও ৫ বছর অপেক্ষা করতে হবে।
তবে, আসন গণনা এবং ভোট ভাগের দিক থেকে কংগ্রেসের পারফরম্যান্স (Haryana Election Results) গত দুটি নির্বাচনের চেয়ে এবার ভাল হয়েছে। ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের তুলনায় কংগ্রেস এই নির্বাচনে বেশি আসন এবং ভোটের শেয়ার পেয়েছে।
হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচন ২০১৪
- কংগ্রেসের আসন – ১৫টি
- কংগ্রেসের ভোট ভাগ – ২০.৫৮ শতাংশ
হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচন ২০১৯
- কংগ্রেসের আসন- ৩১টি
- কংগ্রেসের ভোট ভাগ- ২৮.০৮
হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচন ২০২৪
- কংগ্রেসের আসন- ৩৭টি
- কংগ্রেসের ভোট ভাগ- ৩৯.০৯
অর্থাৎ, কংগ্রেসের ভোট শেয়ারও ১১.০১ শতাংশের বিশাল বৃদ্ধি সহ ৬টি আসন বৃদ্ধি পেয়েছে। বিজেপির ভোট বেড়েছে ৩.৪৫ শতাংশ। তবে দলটি গতবারের চেয়ে ৮টি আসন বেশি (Haryana Election Results) পেয়েছে। দুই দলের ভোট ভাগের মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য নেই।
যদি হরিয়ানায় কংগ্রেসের পরাজয়ের কারণগুলি নিয়ে আলোচনা করা হয়, তবে এমন অনেক ক্ষেত্র রয়েছে যেখানে দল আরও একটু বেশি মনোযোগ (Haryana Election Results) দিতে পারত। বিজেপি এই ক্ষেত্রে ভালো কাজ করেছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রথমত, বিজেপি রাজ্যে অ-জাঠ ভোটব্যাঙ্ক কব্জা করতে সক্ষম হয়েছে। এই কারণেই কংগ্রেস ভূপিন্দর সিং হুডার শক্ত ঘাঁটি সোনিপাতের পাঁচটির মধ্যে চারটি আসনে হেরে গিয়েছে।
অনেকের মতে হরিয়ানায় কংগ্রেসের হারের অন্যতম কারণ ছিল কুমারী শৈলজা এবং ভূপিন্দর সিং হুডার শিবিরের মধ্যে দ্বন্দ্ব। নির্বাচনের আগে, কুমারী শৈলজার পক্ষ থেকে কোন প্রার্থী এবং ভূপিন্দর সিং হুডার পক্ষ থেকে কারা টিকিট পাবেন, তা নিয়ে খুব বিতর্ক চলে।