Humayun Kabir: ভরতপুরের বিধায়ক পদ ছাড়ছেন না হুমায়ুন কবীর, ইস্তফার সিদ্ধান্ত থেকে ১৮০ ডিগ্রি ইউটার্ন

মুর্শিদাবাদ: বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না তৃণমূল থেকে সাসপেন্ডেড নেতা হুমায়ুন কবীরের (Humayun Kabir)। ক’দিন আগেই দল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর যিনি বিধায়ক পদ ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন, বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তিনি সেই অবস্থান থেকে সম্পূর্ণ সরে এলেন। রবিবার তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, ভরতপুরের বিধায়ক পদ থেকে তিনি ইস্তফা দিচ্ছেন না। তাঁর দাবি, এলাকার সাধারণ মানুষের অনুরোধে তিনি এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন।

বিধায়ক পদ না ছাড়ার কারণ 

দলের সঙ্গে সংঘাতের আবহে গত ১৭ নভেম্বর হুমায়ুন কবীর ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি স্পিকারের কাছে ইস্তফা দিয়ে বিধায়ক পদ ছাড়বেন। এরপর দল তাঁকে ৩ ডিসেম্বর আজীবন সাসপেন্ড করে। গত ৬ ডিসেম্বর বেলডাঙায় বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করার পরই হুমায়ুন কার্যত ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যান।

রবিবার রেজিনগরে বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর এলাকা ঘুরে দেখার সময় তিনি বলেন, “আমি বিধায়ক পদ ছাড়ছি না। ভরতপুরের মানুষ আমাকে বিধায়ক পদ ধরে রাখতে অনুরোধ করেছেন। তাঁদের বিভিন্ন কাজকর্মে বিধায়ককে দরকার হয়। জনগণের সেই স্বার্থের কথা ভেবেই আমি ইস্তফার সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে এসেছি।” তাঁর এই ‘ইউটার্ন’ জেলার রাজনৈতিক মহলে নতুন জল্পনার সৃষ্টি করেছে।

কোরানপাঠের পাল্টা ঘোষণা

অন্যদিকে, রবিবার কলকাতায় আরএসএস ঘনিষ্ঠ সনাতন সংস্কৃতি পরিষদের তরফে আয়োজিত ৫ লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের অনুষ্ঠানকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন হুমায়ুন কবীর। তাঁর ঘোষণা, “ছাব্বিশের আগে মুর্শিদাবাদে লক্ষ কণ্ঠে কোরানপাঠ হবে।”

হুমায়ুনের এই ঘোষণায় তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “আমরা গীতাপাঠের বিরোধী নই, কারণ গীতা আমাদের আদর্শ। কিন্তু যাঁরা গীতাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে, আমরা তাদের বিরোধিতা করছি। ঠিক তেমনই, হুমায়ুন কবীরও বাবরি মসজিদের নামে বিষাক্ত সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ ঘটিয়েছেন এবং দলকে কলুষিত করার চেষ্টা করেছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা করি।”

হুমায়ুন কবীরের আচমকা বিধায়ক পদ না ছাড়ার সিদ্ধান্ত এবং লক্ষ কণ্ঠে কোরানপাঠের ঘোষণা— এই দুই বিষয় নিয়েই মুর্শিদাবাদ তথা রাজ্য রাজনীতিতে এখন জোর আলোচনা চলছে।