Hunger Strike: একদাশীর দিন একবেলা রান্না না করার আবেদন জুনিয়র চিকিৎসকদের

ধর্মতলায় জুনিয়র চিকিৎসকরা অনশন করছেন (Hunger strike)। আরজি কর কাণ্ডের পর থেকে  রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদের (Hunger strike) ছায়া। জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে সঙ্গে আরজি কর কাণ্ডে বার বার রাজ্যের নাগরিক সমাজ প্রতিবাদে সরব হয়েছেন। জুনিয়র চিকিৎসকরা একাধিক বার একাধিক কর্মসূচিতে(Hunger strike) জনগণকে আহ্বান করেছিলেন। প্রতিক্ষেত্রে নাগরিক সমাজের একটা বড় অংশ জুনিয়র চিকিৎসকদের আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন। এবার জুনিয়র চিকিৎসকরা (Hunger strike) একাদশীর দিন একবেলা অরন্ধনের ডাক দিলেন।

 

শুক্রবার অনশন মঞ্চের (Hunger strike) সামনে মহা সমাবেশের ডাক দিয়েছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। মেট্রো চ্যানেলের সামনে অনশন মঞ্চে কয়েক হাজার মানুষ জুনিয়র চিকিৎসকদের ডাকে সাড়া দিয়ে হাজির হয়েছিলেন। সেখানেই জুনিয়র চিকিৎসকরা একাদশীর দিন একবেলা বাড়িতে বাড়িতে অরন্ধনের আবেদন করেন। মহা সমাবেশ থেকে জুনিয়র চিকিৎসকরা বলেন, “ আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামীরা যখন অনাহারে, অনশনে থাকতেন…তাঁদের সমর্থনে সাধারণ মানুষরা অরন্ধন পালন করতেন। দেশজুড়ে অরন্ধন পালন করতেন। আমাদের তরফ থেকে আপনাদের একটি ছোট আবেদন করতে চাই, আগামী পরশু একাদশীর দিন আমাদের অনশনকারীদের তখন সাতদিন অনশন পূর্ণ হয়ে গেছে। তাঁদের সংহতিতে, তাঁদের পাশে দাঁড়াতে …আপনারা যদি একাদশীর দিন একবেলা বাড়িতে বাড়িতে অরন্ধন পালন করেন…আমাদের তরফ থেকে আপনাদের জন্য আবেদন রইল।”

 

১০ দফা দাবি নিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকরা গত শনিবার সন্ধে সাড়ে আটটা থেকে অনশন শুরু করেছেন। প্রথমে ছয় জন অনশন শুরু করেন। একদিন পরে জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো ও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের দুই জুনিয়র চিকিৎসক অনশনে বসেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতোর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। বৃহস্পতিবার সন্ধের পর থেকে জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতোর শারীরিক সম্পর্কের অবস্থার আরও অবনতি হতে থাকে। বৃহস্পতিবার রাতে অনিকেতকে আরজি করে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেতের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, শুক্রবার ধর্মতলায় অনশনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করেছে। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে অনশনরত দুই জুনিয়র চিকিৎসকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।