নিজস্ব প্রতিনিধি,বরাহনগর: অন্নপূর্ণা পুজো উপলক্ষে বুধবার সন্ধ্যায় বরাহনগর ব্রহ্মময়ীকালি বাড়িতে হাজির হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মন্দিরে এসে দেবী দর্শনের পর আরতি করতে দেখা যায় তাকে। আরতির শেষে স্বামী পরমাত্মানন্দ জি মহারাজের সাথে একান্ত সাক্ষাৎ করেন তিনি। এদিন বিরোধী দলনেতা সহ মন্দিরে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেত্রী শর্বরী মুখোপাধ্যায়।
স্বামী পরমাত্মানন্দজি মহারাজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, বিরোধী দলনেতা হিসাবে তিনি আসেন নি। উনি একজন সনাতনী হিসেবে সন্ন্যাসীর সঙ্গ ও মাতৃ দর্শনে আধ্যাত্মিক পরিবেশে এসেছেন। কোনো ধরনের রাজনৈতিক কথোপকথন ও তত্ত্ব বিনিময় হয়নি। এটা কেবলি সৌজন্য সাক্ষাৎকার। উনি মাতৃভক্ত, সনাতনীদের বড়ো আশ্রয়স্থল।
পশ্চিমবঙ্গের একমাত্র মহামণ্ডলেস্বর করে দর্শন দেবী অন্নপূর্ণাকে আরতি ও মা ব্রহ্মময়ীকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। তবে আলোচনা বলতে ধর্মের মধ্যে যে বাঁধা বিভেদ তা কাটিয়ে সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের এক হতে হবে। গীতা প্রচার মধ্য দিয়ে সনাতনীরা এক হলে তখন নিশ্চিত ভাবে বাংলা ও বাঙালির স্বতন্ত্র ফিরে আসবে। তখন বাঙালি এমন কিছু করবে যে সারা ভারতবর্ষ দিকে তাকিয়ে থাকবে বাংলার দিকে, উজ্জ্বল ভবিষ্যতে দিশারীর হিসাবে।
এরপর শুভেন্দু অধিকারী বলেন “আমার বিরুদ্ধে আড়াই বছর ধরে তো কিছু খুঁজে পেলেন না ওনাকে বলব হলফনামাটা দিতে তাহলে জেনে যাবেন কটা বাড়ি কটা গাড়ি। ওনার হারার অভ্যাস আছে উনি মালিনি ভট্টাচার্যের কাছে হেরেছিলেন। ২০০৪ সালে ওনার হারা নিশ্চিত ছিল উনি প্রার্থী খুঁজে পাননি কিরণময় নন্দের বিরুদ্ধে তখন আমার হাতে ধরেছিলেন প্রার্থী হবার জন্য। লক্ষণ শেঠের বিরুদ্ধে প্রার্থী পাননি বলে আমাকে দাঁড়াতে বলেছিলেন। হাতে ধরে অনুরোধ করেছিলেন আমি ওনার পার্টির মান সম্মান রক্ষা করেছি। ওনাকে আমি নন্দীগ্রামে হারিয়েছি। ওনাকে আমি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করব আর কালীঘাটে মন্দিরের রাস্তার পাশে বসতে হবে ওনাকে”।
হঠাৎ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা কে কাছে পেয়ে সেলফি তোলার হিড়িক পরে যায় মন্দির চত্বরে।মিনিট কয়েক থাকার পর মন্দির থেকে বেড়িয়ে যান শুভেন্দু অধিকারী।