কলকাতার উত্তর শহরতলির বাঘাযতীনের (Baghajatin) বিদ্যাসাগর কলোনিতে নির্মিত বেআইনি বহুতল “শুভ অ্যাপার্টমেন্ট” নিয়ে চাঞ্চল্য অব্যাহত। মঙ্গলবার দুপুরে বহুতলটি (Baghajatin) হেলে পড়ার পরে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর দলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযোগ, ২০১২-১৩ সালে শাসকদলের প্রত্যক্ষ মদতে এই (Baghajatin) বেআইনি বহুতল গড়ে উঠেছিল।
স্থানীয় বাসিন্দা সুবীর দে অভিযোগ করে জানান, “বাড়ি তৈরির সময় পুরসভার কর্মীরা বারবার ওই এলাকা ঘুরলেও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। আমরা চারতলার ঢালাইয়ের সময় প্রোমোটারকে বাধা দিয়েছিলাম। কিন্তু তৃণমূল কাউন্সিলরের মদতে নির্মাণকাজ চালিয়ে যাওয়া হয়।”
তিনি আরও বলেন, “এখন প্রোমোটার ও বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করে পুরসভা দায় ঝাড়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু এটা সহজে হবে না। ক্ষতিপূরণের দাবিতে আমরা মামলা করব।” হেলে পড়া বহুতলের এক বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “যে বাড়িতে জল ও বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে, যে বাড়ির মিউটেশন প্রোমোটার করিয়েছে এবং যে বাড়ি থেকে পুরসভা নিয়মিত কর নিচ্ছে, সেই বাড়ি বেআইনি কী করে? আমাদের কেন আগে জানানো হয়নি?”
স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক দেবব্রত মজুমদার বলেন, “কেউ বেআইনি বাড়ি কিনবে আর সেটা জানবে না, এটা হতে পারে না। ওই বাড়ি ফ্ল্যাট অর্ধেক দামে বিক্রি হয়েছে। বিদ্যুৎ ও জল সংযোগ থাকা মানেই বাড়ি বৈধ হয়ে যায় না।” পুরসভা এখন প্রোমোটার ও বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে। তবে স্থানীয়রা মনে করছেন, শুধুমাত্র অভিযোগ দায়ের করে নিজেদের দায়িত্ব এড়ানোর চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ।
বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ নিয়ে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। ক্ষতিপূরণের দাবিতে স্থানীয়রা আইনি লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। শাসকদল ও প্রোমোটারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সকলে। অভিযোগ সত্যি হলে, এই বেআইনি বহুতল নির্মাণের জন্য প্রশাসনের ভূমিকা ও নজরদারির অভাবই বড়সড় প্রশ্নের মুখে পড়বে।