পূর্ব বর্ধমানের (Bardhaman Murder) আউশগ্রামে ঘটল হাড়হিম করা এক ঘটনা। দুই শিশুকন্যার সামনেই স্ত্রীকে নৃশংসভাবে খুন (Bardhaman Murder) করে মৃতদেহ ঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখার অভিযোগ উঠেছে স্বামী সোম হাঁসদার বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার (Bardhaman Murder) করেছে পুলিশ। মৃতার নাম লক্ষ্মী হাঁসদা (২৭)।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সাত বছর আগে প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন সোম ও লক্ষ্মী হাঁসদা। তাঁদের ছয় বছর বয়সি কন্যা সোনিয়া এবং সাড়ে তিন বছরের কন্যা রাখী রয়েছে। তবে গত কয়েক বছর ধরে সোমের মদ্যপানের অভ্যাস নিয়ে পরিবারে অশান্তি লেগেই থাকত। মঙ্গলবার সকালে মদ্যপ অবস্থায় স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার একপর্যায়ে সোম শাবল দিয়ে লক্ষ্মীর মাথায় আঘাত করেন বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরে দরজায় তালা লাগিয়ে মেঝে খুঁড়ে মৃতদেহ সেখানে পুঁতে দেন সোম।
সোমের মা পানমনি হাঁসদা জানান, মঙ্গলবার সকালে বৌমাকে দেখতে না পেয়ে ছেলেকে জিজ্ঞাসা করলে সে জানায়, “মার খেয়ে পালিয়ে গেছে।” কিন্তু সন্দেহ হওয়ায় আশপাশের লোকজনকে জানানো হয়। পরে সন্ধ্যায় পুলিশ এসে ঘরের মাটি খুঁড়ে লক্ষ্মীর মৃতদেহ উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে, খুনের সময় দুই শিশুকন্যা ঘরেই উপস্থিত ছিল। তাদের উদ্ধার করে আপাতত থানায় রাখা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার সায়ক দাস জানিয়েছেন, “পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে কথা বলে শিশুকন্যাদের হোমে পাঠানো হবে কি না, তা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
অভিযুক্ত সোম হাঁসদাকে গ্রেফতার করে বুধবার বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে এবং অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে। এই নির্মম ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পারিবারিক বিবাদের এমন মর্মান্তিক পরিণতি ঘিরে নানান প্রশ্ন উঠছে। দুই শিশুর ভবিষ্যৎ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।