ভারত ও বাংলাদেশ (India-Bangladesh) বাণিজ্য, সামুদ্রিক সীমান্ত সুরক্ষা, ডিজিটাল বিনিময় সহ বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুই দিনের ভারত সফরে এসেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হায়দরাবাদ হাউসে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ভারতের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন অংশীদার। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ককে আমরা বিশেষ অগ্রাধিকার দিই। তিনি বলেন, ‘আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ ও প্রগতিশীল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে ভারতের অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করছি।
যে যে বিষয়ে চুক্তি সম্পাদিত হল
- বাংলাদেশের চিকিৎসাধীন রোগীদের জন্য ই-ভিসা
- বাংলাদেশের রংপুরে ভারতের নতুন সহকারী হাই কমিশন
- রাজশাহী ও কলকাতার মধ্যে নতুন ট্রেন পরিষেবা
- চট্টগ্রাম ও কলকাতার মধ্যে নতুন বাস পরিষেবা
- গেদে-দর্শনা ও হলদিবাড়ি-চিলাহাটি থেকে ডালগাঁও পর্যন্ত মালবাহী পরিষেবার প্রবর্তন
- সাহায্য অনুদানের আওতায় সিরাজগঞ্জ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো (আইসিডি) নির্মাণ শুরু
- ভারতীয় গ্রীডের মাধ্যমে নেপাল থেকে বাংলাদেশে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রপ্তানি শুরু করা
- গঙ্গা জল চুক্তি পুনর্নবীকরণ নিয়ে আলোচনার জন্য যৌথ প্রযুক্তিগত কমিটি
- বাংলাদেশের মধ্যে তিস্তা নদী সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পে কারিগরি প্রতিনিধিদলের বাংলাদেশ সফর
- বাংলাদেশী পুলিশ কর্মকর্তাদের জন্য ৩৫০ টি প্রশিক্ষণ স্লট
- রোগীদের জন্য মুক্তিযোদ্ধা প্রকল্প
ডিজিটাল অংশীদারিত্বে বড় চুক্তি
এছাড়াও ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ডিজিটাল অংশীদারিত্বের আওতায় সমঝোতাপত্র বিনিময় করা হয়। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব ডিজিটাল সহযোগিতা সম্পর্কিত নথিতে স্বাক্ষর করেছেন। দুই দেশের মধ্যে সবুজ অংশীদারিত্ব সংক্রান্ত একটি চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে। দুই দেশ সামুদ্রিক সহযোগিতা এবং নীল অর্থনীতির বিষয়েও চুক্তি বিনিময় করেছে। এর উদ্দেশ্য হল সামুদ্রিক সীমানা সুরক্ষিত করা।