অরুণাচল প্রদেশের বাসিন্দা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেছেন যে ভারত-চীন সীমান্তের অনির্ধারিত এলাকায় টহল দেওয়ার জন্য প্রায়ই ভারতীয় ও চীনা সৈন্যরা (Infiltration of Chinese troops) একই জায়গায় পৌঁছায়। তবে ভারতীয় ভূখণ্ডে যে দখল হয়েছে তা নয়। তিনি বলেন, চীন আমাদের জমি নিতে পারবে না।
অরুণাচল প্রদেশে চীনা সেনা অনুপ্রবেশের (Infiltration of Chinese troops) খবরে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। সোমবার তিনি বলেন, শুধু অনির্ধারিত জায়গায় চিহ্ন তৈরি করার মানে এই নয় যে ওই এলাকায় দখল থাকবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, চীন আমাদের জমি নিতে পারবে না, আমাদের দিক থেকে কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে।
অরুণাচল প্রদেশের বাসিন্দা রিজিজু আরও বলেছেন যে ভারত-চীন সীমান্তের অনির্ধারিত এলাকায় টহল দেওয়ার জন্য ভারতীয় ও চীনা সৈন্যরা প্রায়ই একই জায়গায় পৌঁছায়। তবে ভারতীয় ভূখণ্ডে যে দখল হয়েছে তা নয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই মন্তব্য সেই খবরে এসেছে যেখানে বলা হয়েছিল যে কিছু দিন আগে চীনা সেনারা ভারতীয় সীমান্তে প্রবেশ করেছে বলে অভিযোগ।
চীন আমাদের জমি নিতে পারবে না – কিরেন রিজিজু
আসলে, কয়েকদিন আগে একটি খবর ছিল যে গত সপ্তাহে অরুণাচল প্রদেশের আনজাও জেলায় চীনা সেনা (Infiltration of Chinese troops) ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছে বলে অভিযোগ। আর তারা কিছুদিন ধরে জেলার কাপাপু এলাকায় ক্যাম্প করে আসছিল। খবরে বলা হয়েছে, ঘটনাস্থলে আগুন পোড়ানোর ছবি, পাথরে খোদাই করা চিহ্ন এবং চাইনিজ খাবারের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেন, ‘চীন আমাদের জমি নিতে পারে না। উভয় দেশের সৈন্যরা প্রায়ই অনির্ধারিত এলাকায় টহল দেওয়ার জন্য একই জায়গায় পৌঁছায়। তাদের স্থায়ী কোনো নির্মাণকাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের পক্ষ থেকে কঠোর মনিটরিং রয়েছে। শুধুমাত্র অনির্ধারিত স্থানে চিহ্নিত করার অর্থ এই নয় যে ঐ এলাকাগুলো দখল করা হয়েছে।
চীনের দাবি প্রত্যাখ্যান করে আসছে ভারত
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেছেন যে ভারত সীমান্তে পরিকাঠামো তৈরি করছে এবং এটি অব্যাহত থাকবে। নতুন বিকাশ এমন সময়ে ঘটেছে যখন ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে লাদাখে ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং চীনা সেনাবাহিনীর (Infiltration of Chinese troops) মধ্যে স্থবিরতা চলছে। লাদাখ থেকে অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত ভারত এবং চীনের মধ্যে একটি ৩,৪০০ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (LAC) রয়েছে। চীন অরুণাচল প্রদেশকে নিজেদের এলাকা বলে দাবি করে আসছে। ভারত এসব দাবিকে অযৌক্তিক ও হাস্যকর বলে প্রত্যাখ্যান করে আসছে।