নিজস্ব প্রতিবেদন: বৈশাখীকে সুবর্ণ গোলকের সঙ্গে তুলনা করে সমালোচনার মুখে পড়লেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এমনকী বৈশাখী বহু হাত ঘুরে শোভনের কাছে পৌঁছছে বলেও মন্তব্য করেন কুণাল। বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের রামসাগরের দলীয় সভার এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই রাজনৈতিক শিষ্টাচার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
ওই সভায় শোভন-বৈশাখীর সম্পর্কের রসায়ন নিয়ে কটাক্ষ করে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘আজ শোভনকে কলকাতার পর্যবেক্ষক করেছে বিজেপি। এতদিন সেই শোভন-বৈশাখী কোথায় ছিলেন? গত তিন বছর ধরে দক্ষিণ কলকাতার একটি বিলাস বহুল ফ্ল্যাটে বাগান করা ছাদে শোভন এবং বৈশাখী একে অপরকে পর্যবেক্ষণ করেছে। এখন দু’জন মিলে বিজেপিকে পর্যবেক্ষণ করছে।’ তবে একজন মহিলা সম্পর্কে এমন মন্তব্য যে শোভনীয় নয়, সে কথা অজানা নয় কুণালের। তাই সভায় থাকা প্রবীণদের কানে আঙুল দিতেও বলেন তিনি।
ফ্ল্যাটে পর্যবেক্ষণের কথাতেই শেষ নয়, কুণাল বলেন, ‘শোভনদা তুমি যে সুবর্ণ গোলক ছাড়া হাঁটাচলা করতে পারছো না, সেই সুবর্ণ গোলক কিন্তু স্বর্গের ঠাকুররা তোমার কাছে টুক করে পাঠিয়ে দেননি। ওই সুবর্ণ গোলক পৃথিবীতে আসার পর হাত ঘুরতে ঘুরতে তোমার কাছে এসেছে। আর যেদিন তোমার ক্ষমতা ও টাকা শেষ হয়ে যাবে সেদিন তোমার সুবর্ণ গোলক গড়াতে গড়াতে আরএক জায়গায় চলে যাবে। তুমি এই সবের ভরসায় তৃণমূল ছেড়ে দিয়ে বিজেপির কোলে বসে দোল খাচ্ছো, তোমার কিন্তু সুস্থ, স্বাভাবিক পরিণতি আমি দেখতে পারছি না।’ এর পরেই বলেন, ‘আমাকে বলেছে নোটেড ক্রিমিন্যাল। তার জন্য আমি একটা ১০ কোটি টাকার মানহানির মামলার চিঠি দিয়েছি কাল।’
এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই সমালোচনার ঝড় শুরু হয়েছে। দলনেত্রী একজন মহিলা হওয়া সত্ত্বেও একজন মহিলাকে নিয়ে প্রকাশ্য সভায় এহেন মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। যদিও বাঁকুড়ার এক বিজেপি নেতা বলেন, ‘ওঁর কথাতেই ওঁর পরিচয়। আর কুণাল ঘোষের কথা মানুষ এখন কেন শুনবে। উনি পুলিশের ভ্যান থেকে চিৎকার করে যে সব কথা বলেছিলেন, সেগুলো উনি ভুলে গেলেও মানুষ ভোলেননি। ফলে ওঁর এখনকার কথা নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না।’