BJP4Bengal: একই মঞ্চে বিজেপির ত্রয়ী ‘থিঙ্ক ট্যাঙ্ক’! দূরত্ব ঘুচল নাকি স্রেফ কর্মসূচীর তাগিদ

bjp

আরজি করের মতো জ্বলন্ত ইস্যুতেও বঙ্গ বিজেপির(BJP4Bengal) আন্দোলনের ঝাঁঝ অনেকটাই ফিকে! এ রাজ্যের পাশাপাশি প্রায় গোটা বিশ্বে আন্দোলনের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে। তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ- খুনের মামলায় বিক্ষিপ্তভাবে বঙ্গ বিজেপি (BJP4Bengal)পথে নামলেও লোকসভা ভোটে পরাজয়ের ‘দায়’ না নেওয়া প্রথম সারির তিন পদ্ম নেতা সুকান্ত- শুভেন্দু- দিলীপরা আজ, বুধবার থেকে আরজি কর ইস্যুতে বসতে চলেছেন টানা পাঁচ দিবসীয় আন্দোলনের এক মঞ্চে। ‌

গত লোকসভা ভোটে এই তিন নেতার ‘লবি’র কারণেই যে বঙ্গে বিজেপি কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে ‌ বলেই বিজেপির অন্দরে কান পাতলেই শোনা যায়। লোকসভা ভোটের ফলাফল বেরোনোর কয়েকদিন পরেই তিনি যে সংগঠনের কেউ নন, ভোট বিপর্যয়ের দায় যে তাঁর নয়, তা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়ে কিছুটা অভিমানের সুরেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বলেছিলেন, ‘‘আমি সব কিছু ছেড়ে বিজেপিতে এসেছি। সবাই আমাকে পুরস্কার দেয় না। তিরস্কারও দিতে পারে। অনেকে অনেক কিছু পোস্ট করতে পারেন, তির্যক মন্তব্যও করতে পারেন। ভাল হলে নিজেদের ক্রেডিট দেন, আর খারাপ হলে আমার ঘাড়ে চাপান।’’

দিলীপ ঘোষ গত লোকসভা ভোটে তাঁর এবং তাঁর দলের ভরাডুবির কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে নাম না করে সুকান্ত- শুভেন্দুদেরই নিশানা করেছিলেন। বলা বাহুল্য, লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে ৩৫টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়ে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কিন্তু সেই লক্ষ্যমাত্রার ধারেকাছেও পৌঁছতে পারেনি বঙ্গ বিজেপি। সেই ফলাফল নিয়ে এখনও কাটাছেঁড়া চলছে বিজেপিতে। দলের রাজ্য নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছেন সৌমিত্র খাঁ থেকে শুরু করে একাধিক বিজেপি নেতা।

পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপির অনেকেই। সেই তালিকায় ছিলেন শুভেন্দু অধিকারীও। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা স্বতন্ত্র ছিল না বলে যেমন আগেই মন্তব্য করেছেন তিনি। পাশাপাশি ২৪-এর ভোটে দলের সংগঠন ‘ফেল’ করার বিষয়ে তাঁর কোনও ভূমিকাই ছিল না বলে দাবি করেন শুভেন্দু। এসবের মধ্যেই আজ‌ শ্যামবাজারে আরজি কর ইস্যুতে ধরনা আন্দোলনের এক মঞ্চে পাশাপাশি দেখা যাবে বঙ্গ পদ্ম শিবিরের‌ (BJP4Bengal) প্রধান তিন মুখ সুকান্ত- শুভেন্দু – দিলীপকে। দেখা যাবে ঐক্যের ছবি। কিন্তু ‘দূরত্ব’ কি মিটবে? আরজি কর কাণ্ড কি পারবে সুকান্ত- শুভেন্দু- দিলীপদের একমত এবং এক পথে ফেরাতে? উত্তর দেবে সময়ই।

Google news