Jawaharlal Nehru Death Anniversary: জহরলাল নেহেরুর মৃত্যু বার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানালেন মোদি, সোনিয়া, খাড়গে প্রমুখ

neheru ji

দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর মৃত্যুবার্ষিকীতে (Jawaharlal Nehru Death Anniversary) শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কংগ্রেস সংসদীয় দলের প্রধান সোনিয়া গান্ধী, দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী এবং আরও কয়েকজন নেতা। ১৮৮৯ সালে জন্মগ্রহণকারী নেহরু ছিলেন ভারতের দীর্ঘ সময় দায়িত্ব পালনকারী প্রধানমন্ত্রী। ১৯৪৭ সালের আগস্ট থেকে ১৯৬৪ সালের মে পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৬৪ সালের ২৭ মে তাঁর মৃত্যু হয়। সোনিয়া গান্ধী ও খড়গে শান্তি বন পৌঁছে নেহরুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

জওহরলাল নেহরুর মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্স হ্যান্দেলে মোদি লেখেন, ‘প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুকে তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানাই।’

জহরলাল নেহেরুর মৃত্যু বার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানিয়ে কংগ্রেস সভাপতি খাড়গে এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “আধুনিক ভারতের স্থপতি পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুজির অতুলনীয় অবদান ছাড়া ভারতের ইতিহাস অসম্পূর্ণ, যিনি ভারতকে বৈজ্ঞানিক, অর্থনৈতিক, শিল্প ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন, গণতন্ত্রের এক নিবেদিত প্রহরী, স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী এবং আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস। ‘হিন্দ-এর জওহর’-এর মৃত্যুবার্ষিকীতে, তাঁর প্রতি আমাদের বিনীত শ্রদ্ধা। পন্ডিত জওহরলাল নেহরুজি বলেছিলেন, দেশের সুরক্ষা, দেশের অগ্রগতি, দেশের ঐক্য আমাদের সকলের জাতীয় ধর্ম। আমরা বিভিন্ন ধর্ম অনুসরণ করতে পারি, বিভিন্ন রাজ্যে বাস করতে পারি, বিভিন্ন ভাষায় কথা বলতে পারি, কিন্তু আমাদের মধ্যে কোনও প্রাচীর থাকা উচিত নয়। তিনি বলেন, প্রত্যেকের সমান সুযোগ থাকা উচিত।” খড়গে বলেন, আজও কংগ্রেস দল ‘ন্যায়বিচারের’ একই পথ অনুসরণ করছে।

এক্স হ্যান্ডেলে রাহুল গান্ধী লেখেন, ‘আধুনিক ভারতের স্থপতি, দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুজিকে তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানাই। একজন দূরদর্শী হিসাবে, তিনি তাঁর সমগ্র জীবন ভারত গঠনের জন্য উৎসর্গ করেছিলেন-স্বাধীনতা আন্দোলনের ভিত্তি স্থাপন, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সংবিধান প্রতিষ্ঠা। তাঁর মূল্যবোধ সবসময় আমাদের পথ দেখাবে।”

কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ নেহরুকে স্মরণ করে বলেন, “নেহেরুজি সাধারণত প্রতি মাসে সংবাদ সম্মেলন করতেন। ১৯৬৪ সালের ২২শে মে সংবাদ সম্মেলনের শেষে, তাকে তার উত্তরাধিকার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি রসিকতার সাথে উত্তর দিয়েছিলেনঃ ‘আমার জীবন এত তাড়াতাড়ি শেষ হবে না’। রমেশের মতে, ‘নেহরু তাঁর অসাধারণ ও বহুমুখী ইতিহাস সৃষ্টিকারী জীবনে বুদ্ধের জীবন এবং তাঁর বার্তা দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন। তাঁর অধ্যয়ন কক্ষ এবং শয়নকক্ষ বুদ্ধের প্রতি তাঁর আকর্ষণের প্রমাণ। বিস্ময়করভাবে পৃথিবীতে তাঁর শেষ দিন ছিল বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন এবং তিনি এক বৌদ্ধ ভক্তের কাছে তাঁর শেষ চিঠিটি লিখেছিলেন। তিনি বলেন, ‘নেহরুর ইতিহাস পাঠ এবং ভারতের নতুন প্রজাতন্ত্রের সঙ্গে প্রাচীনত্বকে যুক্ত করার আকাঙ্ক্ষা তাঁকে বুদ্ধের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রচারক সম্রাট অশোকের দুটি উত্তরাধিকার-জাতীয় পতাকায় অশোক চক্র এবং সারনাথে অশোকের সিংহস্তম্ভের প্রতিরূপকে ভারতের জাতীয় প্রতীক হিসাবে ব্যবহার করতে পরিচালিত করেছিল।”

জওহরলাল নেহরু ১৮৮৯ সালের ১৪ই নভেম্বর উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৪ সালের ২৭ মে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা পালনের পর ১৯৪৭ সালের ১৫ই আগস্ট তিনি প্রধানমন্ত্রী হন।

Google news