Jalpaiguri: লেভেল ক্রসিং খোলা অথচ সিগন্যাল গ্রীন! প্রচুর মানুষের প্রান বাঁচালেন ছুটন্ত কাঞ্চনকন্যার চালক

দ্রুত গতিতে ছুটে আসছে শিয়ালদহগামী কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস। লেভেল ক্রসিংয়ের গেট নামানো নেই জ্বলছে সবুজ বাতি। সেই ক্রসিং দিয়ে যাতায়াত করছে প্রচুর যানবাহন। বিপদ বুঝে তৎপরতার সঙ্গে জরুরি ব্রেক কষেন ট্রেন চালক। এড়ানো সম্ভব হয় বড় বিপদ। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার ভয়াবহ স্মৃতি কাটিয়ে উঠতে পারেনি বাংলা। একাধিক জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু এবারে চালকের তৎপরতায় প্রাণ বেঁচে গেল অনেক পথযাত্রীর। ঘটনাটি জলপাইগুড়ি জেলার (Jalpaiguri) চালশা থেকে মালবাজার স্টেশনে মধ্যবর্তী একটি লেভেল ক্রসিংয়ে।

জানা গিয়েছে, শিয়ালদাগামী কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস চালসার দিক থেকে প্রচণ্ড গতিতে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার মালবাজারের দিকে ছুটছিল। মালবাজারের কাছে শোনগাছি চা বাগান এলাকায় একটি রেল গেট আছে। দ্রুত গতিতে ছুটে আসার ট্রেন থেকে হঠাৎ চালক দেখতে পান, রেলগেট নামানো নেই। অথচ সিগন্যালে সবুজ বাতি অর্থাৎ থ্রু পাস। রেল গেটের গার্ড পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে না থাকায় চালকের সন্দেহ আরও বেড়ে যায়। এমারজেন্সি ব্রেক কষে গাড়ি থামিয়ে দেন চালক। কিন্তু ততক্ষণে ট্রেনটি প্রায় রেলগেট ছুঁয়ে গিয়েছে।

Kanchankanya

এদিন ট্রেন থামিয়ে নেমে আসেন চালক এবং অন্যান্য কর্মীরা। রেলের ম্যানুয়ালে বলা রয়েছে, এমন পরিস্থিতিতে খোঁজ নিতে হবে গেটম্যানের। অনেক সময় অসুস্থতা বা অন্য কোনও গুরুতর কারণে গেটম্যান সিগন্যাল না দিলে এভাবেই সেই রেলকর্মীর খোঁজ নেন ট্রেনের চালক ও গার্ড। কিন্তু এক্ষেত্রে অভিযোগ, গেটম্যানের  বহাল তবিয়তেই ছিলেন। তড়িঘড়ি নিজের ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চাইতে থাকেন ওই রেলকর্মী। কিন্তু ততক্ষণে খবর পৌঁছে গেছে স্টেশন পর্যন্ত।

সূত্রের খবর অভিযুক্ত রেলকর্মীর বক্তব্য,  অন্যমনস্কতার জন্যই এই ভুলটি হয়েছে তাঁর। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রেল দফতর। তবে দফতরের তরফে মুখ খুলতে রাজি হননি কেউ।

Google news