Mamata Banerjee: ১ জুন অন্ডিয়া জোটের বৈঠকে যোগ দেবেন না মমতা, কারণ জানালেন তৃণমূল সুপ্রিমো

Mamata INDIA

বিরোধী পক্ষ ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স (ইন্ডিয়া) গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতারা লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফার ভোটের দিন ১ জুন নয়াদিল্লিতে বৈঠক করার কথা রয়েছে। বৈঠকে ৭ ধাপের নির্বাচনের সময় তাদের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন এবং ভবিষ্যতের জন্য একটি কৌশল তৈরি করার জন্য আলোচনা করা হবে। এই বৈঠকের ডাক দিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন না পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গের নয়টি আসনে একই দিনে ভোট হতে চলেছে বলে তিনি বৈঠকে যোগ দিতে পারবেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আগামী ১ জুন ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক হতে চলেছে। তিনি বলেন, ‘আমি তাদের বলেছি যে, পশ্চিমবঙ্গে একই দিনে ৯টি আসনে নির্বাচন হওয়ার কারণে আমি এতে অংশ নিতে পারব না। আগামী ১ জুন পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ ও বিহারে এক দফায় ভোট হবে। একদিকে ঘূর্ণিঝড়, অন্যদিকে নির্বাচন। ,তিনি বলেছেন, আমাকে এখন অনেক কাজ করতে হবে। ঘূর্ণিঝড় ত্রাণ আমার অগ্রাধিকার।

কয়েকদিন আগে মমতা বলেছিলেন, কেন্দ্রে সরকার গঠন করতে পারলে তাঁর দল বিরোধী জোটকে বাইরে থেকে সমর্থন করবে। আমরা (টিএমসি) কেন্দ্রে সরকার গঠনের জন্য ইন্ডিয়া জোটকে বাইরের সমর্থন দেব। আমরা আমাদের সমর্থন জানাব যাতে (পশ্চিমবঙ্গ) বাংলায় আমাদের মা ও বোনেরা কখনও কোনও সমস্যার সম্মুখীন না হয়… এবং যারা ১০০ দিনের কর্মসংস্থান প্রকল্পে কাজ করে তারাও সমস্যার সম্মুখীন না হয়। বাইরের সমর্থনের মন্তব্যে টিএমসি সুপ্রিমো বলেন, তিনি পর্যায়ে ইন্ডিয়া জোটের অংশ।

বৈঠকের এজেন্ডায় ৪ জুন নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার আগে বিরোধীদের কৌশল নিয়ে আলোচনা এবং সাত দফা নির্বাচনের সময় তাদের পারফরম্যান্সের মূল্যায়ন অন্তর্ভুক্ত থাকবে। ২৮-দলীয় বিরোধী জোট তাদের ক্ষমতার উপর আস্থা প্রকাশ করেছে। বিজেপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোটকে (এনডিএ) কেন্দ্রে ক্ষমতায় ফিরে আসা থেকে বিরত রাখাঁ এবং নিজের সরকার গঠনের লক্ষ্য স্থির কড়া। এর আগে ইন্ডিয়া জোটের শেষ বৈঠকগুলি পাটনা, বেঙ্গালুরু এবং মুম্বাই সহ বিভিন্ন শহরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। গত সভাগুলিতে বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল। এরমধ্যে অন্যতম ছিল একজোট হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কড়া।

Google news