Narendra Modi: ওড়িশায় নির্বাচনী জনসভায় ‘ডাবল ইঞ্জিন’ সরকারের ধুয়ো তুললেন মোদি

modiodh

ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সাধারণ নির্বাচনের জন্য লাগাতার প্রচার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বিজেপির প্রচারে নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সোমবার তিনি ওড়িশার ঢেঙ্কানালে একটি নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখেন। যেখানে তিনি বিজু জনতা দলকে নিশানা করে একের পর এক বাক্যবাণ নিক্ষেপ করেন। জনসভায় তিনি বিজেডির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন। প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, ওড়িশায় এবার রাজ্যে ডাবল ইঞ্জিনের সরকার আসতে চলেছে। প্রসঙ্গত, এবার লোকসভা নির্বাচনের পাশাপাশি ওড়িশায় বিধানসভা নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই প্রথমবার ওড়িশায় ডাবল ইঞ্জিনের সরকার গঠন হতে চলেছে। ওড়িশার মানুষ ২৫ বছর ধরে বিজু জনতা দল সরকারের উপর আস্থা রেখেছেন। এই বছরগুলিতে ওড়িশার মানুষ কী পেয়েছেন, তা নিয়ে আজ গোটা ওড়িশা আত্মবিশ্লেষণ করছে। ওড়িশাকে কিছুই দেয়নি বিজু জনতা দল। কৃষক, যুবক এবং আদিবাসীরা এখনও উন্নত জীবনের জন্য সংগ্রাম করছে। উপজাতি অঞ্চলগুলি সম্পদ সমৃদ্ধ হলেও দারিদ্র্যপীড়িত। যাঁরা ওড়িশাকে ধ্বংস করেছেন, তাঁদের ক্ষমা করা উচিত নয়।

তিনি বলেন, ‘আমি যখন ওড়িশায় দারিদ্র্য দেখি, তখন আমার হৃদয়ে ব্যথা লাগে যে কে এত সমৃদ্ধ রাজ্য, এত মহান ঐতিহ্য সহ আমার ওড়িশাকে ধ্বংস করেছে? এরজন্য দায়ি হল বিজেডি সরকার, যা সম্পূর্ণরূপে দুর্নীতিবাজদের হাতে। মুষ্টিমেয় সংখ্যক দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তি মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন ও কার্যালয় দখল করে নিয়েছে। বিজেডির ছোট নেতারাও কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ওড়িশার সম্পদ বা ওড়িশার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য কোনওটাই বিজু জনতা দলের শাসনে নিরাপদ নয়। এমনকি জগন্নাথ মন্দিরও বিজু জনতা দল সরকারের অধীনে নিরাপদ নয়। গত ৬ বছর ধরে শ্রী রত্ন ভাণ্ডারের চাবির কোনও খুজ নেই। এর পিছনে বড় রহস্য রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরা লুকিয়ে রাখছেন। সমগ্র ওড়িশা জানতে চায় যে, যে তদন্ত হয়েছিল, ঐ তদন্তের রিপোর্টে এমন কি ছিল যে বিজেডি তা আড়াল করছে?’

তিনি বলেন, ‘বিজেপি ওড়িশার ভূমিপুত্র বা কন্যাকেই মুখ্যমন্ত্রী করবে। ১০ই জুন, ওড়িশায় বিজেপির ডাবল ইঞ্জিন সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে কারণ এই বিজু জনতা দল সরকার বিদায় নিতে চলেছে। একবিংশ শতাব্দীর ওড়িশায় উন্নয়নের গতি প্রয়োজন। বিজেপি সরকার এটা করতে পারবে না। এখন সময় এসেছে বিজেডির আলগা নীতি, আলগা কাজ এবং ধীর গতি পরিত্যাগ করে বিজেপির দ্রুতগতির সরকার বেছে নেওয়ার।

Google news