Parliament security breach: বাড়িতে ‘সেনা নিয়োগের জন্য দিল্লি যাচ্ছি’ বলে পার্লামেন্টে একি কাণ্ড ঘটাল যুবক!

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে যে সংসদের বাইরে থেকে গ্রেপ্তার যুবক তফসিলি জাতি সম্প্রদায়ের একজন বিএ স্নাতক

ন্যাশনাল ডেস্ক: সংসদে ২০০১ সালে সন্ত্রাসী হামলার ২২তম বার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হামলায় শহিদ বীর সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে খুব সকালেই সংসদে আসেন। এই ধরনের দিনগুলিতে,নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাধারণত অন্যান্য দিনের তুলনায় আরও কঠোর করা হয়। কিন্তু এর পরেও সংসদের নিরাপত্তায় (Parliament security breach) আজকের এত বড় ত্রুটি খুবই গুরুতর ঘটনা। 

বুধবার সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘন নিয়ে উত্তাল যখন গোটা দেশ তখন লোকসভায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের অন্যতম,বছর পঁচিশের অমল শিন্ডের বাড়ি মহারাষ্ট্রের লাতুর জেলার চাকুর মহকুমার ঝরি গ্রামে হানা দেয় চাকুর থানার পুলিশ। আসলে ঘটনার পরই দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে মহারাষ্ট্র পুলিশকে অমলের বিষয়ে বিশদ তথ্য সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়া হয়।

লাতুরের চাকুর তহসিলের জারি গ্রামের বাসিন্দা অমল শিন্ডে (25), নীলম (42) সহ হরিয়ানার হিসার থেকে গ্রেপ্তার করেছিল তাদের সংসদ ভবনের বাইরে থেকে ধোঁয়া নির্গত গ্যাসের ক্যাপসুল খুলে’তানাশাহি নেহি চ্যালেগি’ ‘ভারত মাতা কি জয়’ এবং ‘জয় ভীম-জয় ভারত’ স্লোগান দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অমল শিন্ডে তফসিলি জাতি সম্প্রদায়ের এবং একজন বিএ স্নাতক। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, পুলিশ ও সেনাবাহিনীতে নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতির সময় সমস্ত খরচ মেটাতে দিনমজুরের কাজ করতেন। পুলিশের এক আধিকারিক জানান, শিন্দের দুই ভাই ও বাবা-মাও দিনমজুর হিসেবে কাজ করেন।  অমলের বাবা-মা পুলিশকে জানান যে, অমল যখন ৯ ডিসেম্বর বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল তখন সে সেনাবাহিনীতে নিয়োগের জন্য দিল্লি যাচ্ছে বলে গিয়েছিল। যেহেতু তিনি আগেও এই ধরনের নিয়োগ ড্রাইভে অংশগ্রহণ করেছিলেন, তাই তার বাবা-মা এটিকে অস্বাভাবিক মনে করেননি।

তবে আমলের কোনো রাজনৈতিক দল বা আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কোনো তথ্য নেই বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

ঘটনাটি সংসদ ভবনের বাইরে ঘটেছিল যখন দু’জন লোক পাবলিক গ্যালারি থেকে লোকসভার কক্ষে ঝাঁপ দিয়েছিলেন। এরপর তারা ছোট টিনের ক্যান খুলে দেওয়ায় তা থেকে অভিন্ন রঙের ধোঁয়া বের হচ্ছিল, যা দেখে সংসদ সদস্যদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সন্ত্রাসী হামলার ২২তম বার্ষিকীতে এই দুটি ঘটনা ঘটায় সাংসদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

Google news