Pashchim Medinipur : BJP করার অপরাধে শাসকদলের চাপে হিমঘরের অস্থায়ী কর্মীকে কাজে যোগ দিতে নিষেধ মালিক পক্ষের

নিজস্ব প্রতিনিধি, পশ্চিম মেদিনীপুর : বিজেপি করায় শাসকদলের চাপে হিমঘরের অস্থায়ী কর্মীকে কাজে যোগ দিতে নিষেধ মালিক পক্ষের।মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুললো পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনার  একটি হিমঘরের এক অস্থায়ী কর্মী।  পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা থানার রাধাবল্লভপুর এলাকার মহাপ্রভু হিমঘরের ঘটনা।

রাধাবল্লভপুর এলাকার বাসিন্দা ধনঞ্জয় পন্ডা ওই হিমঘরেই অস্থায়ী কর্মী হিসাবে কাজ করে আসছেন বলে দাবি করে বলেন,’আমি বিজেপির চন্দ্রকোনা দক্ষিণ মন্ডলের যুব মোর্চার সভাপতি। আমি কয়েকবছর ধরেই আলুর তোলার এই সময়ে মহাপ্রভু হিমঘরেই দৈনিক পারিশ্রমিক হিসাবে অস্থায়ী কর্মীর কাজ করে আসছে। সেইমত এবছরও প্রথম দিন কাজে যোগ দিই কিন্তু তারপর মালিকপক্ষ থেকে আমাকে ফোন করে বলা হয় তুমি বিজেপি করো তা নিয়ে শাসকদলের চাপ রয়েছে,বিজেপির কোনও ছেলেকে কাজে নেওয়া যাবেনা বলে জানিয়ে দেওয়া হয় এবং কাজে আসতে নিষেধও করা হয়।’

এবিষয়ে মহাপ্রভু হিমঘর কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া নিতে গেলে ক্যামেরার সামনে বুম সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে কিছু বলতে না চাইলেও অগত্যা মালিক পক্ষের তরফে দিবাকর ধাওয়া বলেন, ‘যে পাঠিয়েছে সেই ধনঞ্জয় পন্ডার সাথে কথা বলুন আমি কিছু বলবো না।’ এরপরই তিনি ওই অস্থায়ী কর্মীকে ফোন করার বিষয়টি কার্যত স্বীকার করে নেন তবে ফোনটি তিনি নন প্রভাকর ধাওয়া নামের মালিকপক্ষের অন্য একজন করেছিল বলে জানান।

তিনিও এও বলেন,আমরা ধনঞ্জয় পন্ডাকে কাজে নেবো না বলে জানিয়ে দিয়েছি ঠিকই কিন্তু কাজে নেবো বলেও কোনও কনফার্ম করিনি এর বেশি অবশ্য কিছু বলতে চাননি দিবাকর ধাওয়া। শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও তা অস্বীকার করেন শাসকদলের শ্রমিক সংগঠন INTTUC র ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা কমিটির সদস্য নয়ন গোস্বামী।

তিনি এবিষয়ে বলেন,এরকম কোনও ঘটনা আমাদের কাছে এখনও আসেনি,এবিষয়ে আমাদের কিছু জানা নেই। আমরা যেহেতু শ্রমিক সংগঠন করি তাই আমাদের কাছে কে বিজেপি করে কে INTTUC করে তা না আমরা সবাইকে শ্রমিক হিসাবেই মনে করি। শ্রমিক যদি কাজ করতে করতে কোনও সমস্যায় পড়ে সে যেই দলই করুক আমাদের কাছে এলে আমরা সবরকম সহযোগিতা করবো সংগঠনের পক্ষ থেকে।মালিকপক্ষেরও যদি কোনও শ্রমিককে নিয়ে সমস্যা থাকে তারা আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে সহযোগিতা করি।

এক্ষেত্রে শ্রমিক বা মালিক যেহেতু এখনও কেউ যোগাযোগ করেনি বিষয়টি আমাদের জানা নেই। আমি বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে খতিয়ে দেখছি।কেনই বা শাসকদলের নাম জড়ালো এবিষয়ে তাও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান শাসকদলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা নয়ন গোস্বামী।এই ঘটনায় শাসকদলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক রং বিচার করে কাজে বাধার অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে।

Google news