করোনা আক্রান্ত তৃণমূল বিধায়ক তমোনাশ ঘোষ প্রয়াত

 

খবর এই সময়:  করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হল তৃণমূল বিধায়ক তমোনাশ ঘোষের। তিনি ফলতার তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক। দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের চেয়ারম্যানও ছিলেন তিনি৷ গত মে মাসের শেষের দিক থেকে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, মাল্টি অর্গান ফেলিওরের কারণে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। হার্ট, কিডনি, লিভার, ফুসফুস বিকল হয়ে আজ সকালে মৃত্যু হয়েছে তাঁর । বয়স হয়েছিল ৬০ বছর৷ গত তিনদিন ধরে সঙ্কটজনক অবস্থায় ছিলেন তিনি। আগের সপ্তাহেই তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে দলের অত্যন্ত নিষ্ঠাবান কর্মী ছিলেন তমোনাশ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে খুবই স্নেহ করতেন এবং “তমা” নামে ডাকতেন তাঁকে। ফলতার বিধায়ক হলেও তমোনাশ বাবু মমতা ব্যানার্জীর  প্রতিবেশী ছিলেন। অর্থাৎ তৃণমূল বিধায়ক তমোনাশ ঘোষের বাড়ি কালীঘাটে।

” তমা” র মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বিধায়কের মৃত্যুতে তিনি ট্যুইটে লেখেন, ‘খুবই দুঃখজনক তমোনাশের মৃত্যু৷ ফলতার ৩বারের বিধায়ক তমোনশ দলের কোষাধক্ষও ছিলেন ১৯৯৮ থেকে৷ ৩৫ বছরের রাজনৈতিক সঙ্গীকে হারালাম৷ দল এবং সাধারণের জন্য নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন তমোনাশ৷ প্রচুর সামাজিক কাজে নিযুক্ত ছিলেন তিনি৷ ওঁর মৃত্যু অপূরণীয় ক্ষতি৷ তমোনাশের স্ত্রী ঝর্ণা, দুই মেয়ে এবং পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই৷’ লিখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

 

বিধায়ক ছাড়াও দলীয় ক্ষেত্রে তমোনাশবাবু তৃণমূলের সর্বভারতীয় কোষাধ্যক্ষ ছিলেন।
অত্যন্ত শান্ত নির্বিরোধি মানুষ হিসাবে দলের নেতা কর্মীদের কাছে তিনি সুপরিচিত ছিলেন। তবে শেষের দিকে স্থানীয় কিছু  নেতার দুর্ব্যবহারে নিজের বিধানসভা ফলতায় তিনি যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন। মানসিকভাবে ভেঙ্গেও পড়ে ছিলেন। চারবারের বিধায়ক কেন বিচার পেলেন না তা নিয়ে সংশয় দলের মধ্যে। দলে আগুন ধরিয়ে বরং তাকে যারা হেনস্তা করেছিলেন তারা পুরস্কার পেয়েছেন। দলে তাদের ক্ষমতা বেড়েছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ এবার ঐ কেন্দ্রে প্রার্থী হবেন বলে আশা করছেন এমনটাই শোনা গেল দলীয় কর্মীদের থেকে।

অন্যদিকে,তমোনাশ বাবু মারা যাওয়ায় কালিঘাটের ওই নির্দিষ্ট এলাকায় অনেকেই চিন্তিত কবিড19 এর কারণে।