রাত পোহালেই ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচন, ডিসি আরসি সেন্টারে ভোট কর্মীদের ব্যস্ততা

প্রনব বিশ্বাসঃ রাত পোহালেই বৃহস্পতিবার হাইভোল্টেজ ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচন। নির্বাচন রয়েছে জেলার নির্বাচনও। সমস্ত রকম প্রস্তুতি নিয়ে তুমুল তৎপর নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই দুর্যোগের জন্য কয়েক দফা ব্যবস্থা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ইভিএম মেশিন কে নিরাপদ রাখার জন্য ট্রান্সপারেন্ট পলিথিন ব্যাগ দেওয়া হচ্ছে, যাতে ইভিএম মেশিন জলেনা ভিজে যায়। প্রত্যেক ভোট কর্মীকে দেওয়া হচ্ছে রেইনকোট যেটা এই প্রথমবার ।প্রত্যেকটি বুথে শেডের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বৃষ্টিকে মাথায় রেখে। যেসব জায়গাগুলিতে জল জমে সেই জায়গাগুলো ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন ও কেএমসি যৌথ পরিদর্শনের মাধ্যমে। জমা জল বের করে দেওয়ার জন্য সেই জায়গাগুলিতে সব সময় থাকবে পাম্পের ব্যবস্থা। বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর এবং সিভিল ডিফেন্স ডিপার্টমেন্ট দুটি বোটের ব্যবস্থা রাখছে যাতে তিন ফুটের উপর জল জমলে এগুলি ব্যবহার করা যায়।

বৃহস্পতিবার সকাল ৭ টায় ভোটগ্রহণ শুরু হবে তা চলবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬ পর্যন্ত। মোট ভোটারের সংখ্যা ২,০৬,৩৮৯ জন। এর মধ্যে ৯৫,১৪৩ (৪৬ শতাংশ) জন নারী ভোটার। এই কেন্দ্রের প্রায় শতকরা ২০ ভাগ ভোটার মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্ত, শিখ ও অ-বাঙালি ভাষী হিন্দুর বসবাস প্রায় ৩৪ শতাংশ।
অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে কলকাতা পুলিশের তরফে একাধিক সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত ভোটকেন্দ্রের দুইশত মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা লাগু করা হয়েছে (একসাথে পঁচকজনের বেশি জমায়েত নিষিদ্ধ)। উপনির্বাচনের দিন ৯৭ টি ভোটকেন্দ্রে ২৮৭ টি বুথের প্রতিটিতে থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এজন্য ১৫ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। বুথের বাইরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন কলকাতা পুলিশের সদস্যরা। ভোটকেন্দ্রের একশত মিটারের মধ্যে যাতে কোন নিরাপত্তারক্ষীর হাতে বন্ধুক বা অস্ত্র না থাকে- তা নিশ্চিত করতে এক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। নজর রাখা হচ্ছে বহিরাগতদের ওপরেও। ভবানীপুর কেন্দ্রের অধীন প্রতিটি হোটেল ও গেস্ট হাউজে বহিরাগতদের সন্ধানে অভিযানে নেমেছে পুলিশ।

Google news