খবরএইসময়,খড়দহঃ ভারতীয় সেনাবাহিনী যেভাবে পাকিস্তানের সীমানায় ঢুকে জঙ্গিদের নিকেশ করেছিলো, ঠিক সেভাবেই দক্ষিণ কলকাতার হরিশ চ্যাটার্জি রোড-এর বাড়িতে (মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর বাড়ি) ঢুকে পদ্ম ফুল ফোটানো হবে।মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার খড়দহে ভারতীয় জনতা পার্টির এক জনসভা থেকে এমনই মন্তব্য করেন শুভেন্দু অধিকারী।
দিনকয়েক আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন মেদিনীপুরের দাপুটে নেতা শুভেন্দু অধিকারী।তারপর থেকেই রীতিমত আদা-জল খেয়ে ময়দানে নেমে পড়েছেন শুভেন্দু। প্রতিদিনি জনসভা করছেন তিনি।বাদ পড়েনি মঙ্গলবারও। টিটাগড় থেকে রোড শো’র পর খড়দহের সভা থেকে এদিন তৃণমূল সরকারকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে উৎখাতের ডাক দিয়ে শুভেন্দু বলেন “কাটমানি, সিন্ডিকেট বুয়া ভাতিজার সরকারকে সাফ করতে হবে, উবড়ে ফেলতে হবে এবং পদ্ম ফুল ফোটাতে হবে। এখনো তো বাসন্তী পুজো আসেনি, রামনবমী হয়নি। সবেতো পদ্মফুলের কুড়িটা ফুটেছে, এবার ফুলও ফুটবে। আমার বাড়ির লোকেরাও পদ্ম ফোটাবে। তবে কেবল আমার বাড়িতে নয়, আমি ওদের বাড়িতেও (মমতা ব্যানার্জি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) ঢুকবো এবং তোমার হরিশ চ্যাটার্জির বাড়িতে ঢুকে পদ্ম ফোটাবো। তুমি নিশ্চিত থাকো।”
পিসি-ভাইপোকে হারাতেই ময়দানে নেমেছেন বলেও এদিন জানান শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন “ওরা (তৃণমূল কংগ্রেস) বলছিল এক বাপের ব্যাটা হলে আঞ্চলিক দল করতিস। করলেই খুব সুবিধা হতো না…তাহলে ২-৫ শতাংশ ভোট কেটে দিতাম। আরে আমি তো ওদের দুই জনকে (মমতা ও অভিষেক) হারানোর জন্য বিজেপি তে এসেছি।”
সম্প্রতি ডায়মন্ড হারবার এ বিজেপি সভাপতি জেপি জেপি নাদ্দার সভায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ৩ আইপিএস অফিসার কে ডেপুটেশনে যেতে না দেওয়া নিয়ে মমতা সরকারকে বিধেছেন শুভেন্দু অধিকারী বলেন “ওরা যে কাজগুলো করছে, তার পরিণতি খুব খারাপ কারণ পিসি ভাইপো সরকার আর ফিরছে না। এর যাওয়ার সময় হয়ে গেছে। তৃণমূল এখন আর রাজনৈতিক দল নয় এটা এখন কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে, আর আমাদেরকে কর্মচারী করে দিয়েছিল।”
তার অভিমত পশ্চিমবঙ্গ এবং দিল্লিতে এক সরকার না থাকলে বাংলার উন্নয়ন, বাংলার কৃষক কারও স্বার্থ পূরণ হবে না।
অন্যদিকে এদিনের সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে শাসক দলকে নিশানা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তিনি বলেন “তৃণমূল কংগ্রেসকে বঙ্গোপসাগরে নয়, আরব সাগরে ছুড়ে ফেলা দেওয়া হবে। যাতে ওখান থেকে মোবাইলের network আর পশ্চিমবঙ্গে এসে পৌঁছবে না। ওরা জেলে বসেও সিন্ডিকেট চালায়।”
দিদি ও ভাইপোর expiry ডেট পার হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন বাবুল। তিনি বলেন এক্সপায়ারি ডেট পার হয়ে যাওয়ার পরও কিছু কিছু ওষুধের দোকানে ওষুধ বিক্রি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা। আমাদের দিদির মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে এক্সপায়ারি ডেট হয়ে গেছে কিন্তু ইনি মুখ্যমন্ত্রী আছেন শুধুমাত্র ব্যারাকে কয়েকজন কাপুরুষ পুলিশের দয়ায়। মমতাকে একজন নিষ্ঠুর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তুলনা করে আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন ওর জন্যই আজ বাংলার হাজার হাজার মহিলা নির্যাতিতা।