মুসলিমদের জন্য সংরক্ষণের বিষয়ে শিবসেনা-ইউবিটি বিধায়ক (Maharashtra Election) আদিত্য ঠাকরে বলেন, “আমি এটা নিয়ে কথা বলব না। আমি চিঠিটা দেখিনি। এই সমস্যা আমার সামনে আসেনি এবং যখন আসবে তখন আমি এর উত্তর দেব।” সর্বভারতীয় উলেমা বোর্ডের দাবির সমর্থনে বিজেপি মহারাষ্ট্র কংগ্রেস সভাপতি নানা পাটোলের একটি কথিত চিঠি প্রকাশ করেছিল। উলেমা বোর্ড মুসলমানদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছিল।
আদিত্য ঠাকরে (Aaditya Thackeray) বলেন, “আমি মুসলমানদের জন্য দশ শতাংশ সংরক্ষণ নিয়ে কথা বলব না। কিন্তু আপনি আমাকে হ্যাঁ বা না বলতে বাধ্য করতে পারবেন না। মুসলমানদের জন্য দশ শতাংশ সংরক্ষণের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না”।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ চৌহানের বক্তব্য (Maharashtra Election) প্রসঙ্গে আদিত্য ঠাকরে (Aaditya Thackeray) বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী হওয়া নিয়ে আমাদের কোনও সমস্যা নেই। তবে প্রথমেই সিদ্ধান্ত নেওয়া যাক, কোন দল সবচেয়ে বড় দল। মুখ্যমন্ত্রী যদি সবচেয়ে বড় দল থেকে হন, তাহলে আমাদের কোনও সমস্যা নেই, তবুও উদ্ধব ঠাকরে হলেন সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য মুখ্যমন্ত্রী মুখ।” আদিত্য একনাথ শিন্ডেকেও আক্রমণ করেন। আদিত্য বলেন, “একনাথ শিন্ডে চোর। তারা আমার দলের বিধায়ক এবং আমার দলের প্রতীক চুরি করেছে। আমাদের দল কখনও শিন্ডেকে ফিরিয়ে নেওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।”
আদিত্য স্পষ্টভাবে অস্বীকার করেছেন যে উদ্ধব কখনও বকরি বা দিওয়ালি মোমবাতি নিয়ে কথা বলেছেন। আসলে নারায়ণ রানে দাবি করেছিলেন যে উদ্ধব ঠাকরে একটি বৈঠকে বলেছিলেন যে আপনি যদি সমাজে বকরি ইদের অনুমতি দিতে না চান তবে দিওয়ালির লণ্ঠনটি সরিয়ে ফেলুন। রানে-র এই বক্তব্য বিজেপি এবং শিবসেনা-ইউবিটি-র মধ্যে বাকযুদ্ধের সূত্রপাত করেছিল।