National Desk: শেষমেশ এথিক্স কমিটির সুপারিশই গৃহীত হল। ‘অর্থের বিনিময়ে প্রশ্ন’ (Cash For Query) ঘিরে বিতর্কের জেরে শুক্রবার তৃণমূল(TMC) সাংসদ(MP) মহুয়া মৈত্রের(Mahua Maitra) সাংসদ পদ খারিজ হল লোকসভায়(Expelled As Lok Sabha)। ভোটাভুটিতে পাশ হয় সরকার পক্ষের বহিষ্কারের প্রস্তাব। বহিষ্কারের পর বাইরে বেড়িয়ে মহুয়া বললেন, ‘‘আমার বয়স ৪৯, আগামী ৩০ বছর সংসদের ভিতরে এবং বাইরে লড়ব।’
তৃণমূল সাংসদ মহুয়ার বিরুদ্ধে অর্থ-উপহারের বিনিময়ে প্রশ্ন করার অভিযোগ তুলে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে চিঠি পাঠান বিজেপি সাংসদ দুবে। সেই চিঠিতে কৃষ্ণনগরের সাংসদের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি করা হয়। এমনকি তাঁর সাংসদ পদও কেড়ে নেওয়ার আবেদন করা হয়।
কেন ?
দুবাইয়ের ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানির কাছ থেকে উপহার এবং নগদ টাকা নিয়ে সংসদে আদানির বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলার অভিযোগ জানিয়ে পৃথক ভাবে সিবিআই প্রধানকে চিঠি লেখেন মহুয়ার প্রাক্তন বান্ধব জয় অনন্ত দেহাদ্রাই। তার পর থেকে এই বিতর্ক রাজ্য এবং জাতীয় রাজনীতিতে আলোচনার অন্যতম কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। বিজেপি সাংসদের বক্তব্য ছিল, হীরানন্দানির কাছ থেকে ‘ঘুষ’ নিয়ে সংসদে আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে জুড়ে দিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মহুয়া। একই সঙ্গে মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সিবিআই প্রধানকে চিঠি দেন আইনজীবী দেহাদ্রাই।
আজ লোকসভার অধিবেশন শুরু হওয়ার পর দুপুর ২টো পর্যন্ত তা স্থগিত হয়ে যায়। পরে আবার অধিবেশন শুরুর পর ‘প্রশ্নঘুষ’কাণ্ডে মহুয়াকে বহিষ্কার করার সুপারিশ করে লোকসভার এথিক্স কমিটি। ৪৯৫ পৃষ্ঠার রিপোর্ট তারা শুক্রবার জমা দেয়। ওই রিপোর্ট পড়ে দেখার জন্য সময় চেয়েছিল তৃণমূল। কংগ্রেস এবং অন্যান্য বিরোধী দলগুলির তরফেও স্পিকারের কাছে সময়ের জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। যদিও লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা সময় দেননি।
বহিষ্কারের প্রস্তাব পেশ করেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। হাউস তা কণ্ঠভোটে পাস করে। প্রতিবেদনে মহুয়াকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়। বহিষ্কারের পর বাইরে বেড়িয়ে মহুয়া বললেন, এথিক্স কমিটির বহিষ্কার করার কোনো অধিকার নেই। এটি আপনার শেষের শুরু। ‘‘আমার বয়স ৪৯, আগামী ৩০ বছর সংসদের ভিতরে এবং বাইরে লড়ব।’