দক্ষিণ ২৪ পরগনার মৈপীঠে ফের বাঘের দেখা মিলল, যা নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে গ্রামবাসীদের মধ্যে (Tiger)। শুক্রবার রাতে বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে বাঘের (Tiger) মুখোমুখি হন মৈপীঠের বাসিন্দা অনুপম গিরি। হঠাৎ অন্ধকারে দুটি জ্বলজ্বলে চোখ দেখতে (Tiger) পেয়ে আতঙ্কে চিৎকার শুরু করেন তিনি। তাঁর চিৎকার শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসেন, আর এতেই পালিয়ে যায় বাঘটি (Tiger)। তবে ততক্ষণে ভয় পেয়ে জ্ঞান হারান অনুপমবাবু (Tiger)।
বাঘের খবর পেয়েই কুলতলি বন দফতরের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন। রাতেই গ্রামটিকে জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় এবং লাগাতার নজরদারি চালানো হয়। গ্রামবাসীরা আতঙ্কে রাতভর আগুন জ্বালিয়ে পাহারা দেন। এমনকি আলোর ব্যবস্থা করতে জেনারেটরও ভাড়া আনা হয়।
বন দফতরের প্রাথমিক অনুমান, বাঘটি মাকড়ি নদী পেরিয়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে। তবে কেন বাঘ ঘন ঘন লোকালয়ে আসছে, তা এখনও পরিষ্কার নয়। স্থানীয়দের প্রশ্ন, জঙ্গলে কি বাঘের খাদ্যের অভাব হয়েছে? নাকি অন্য কোনও কারণে সে লোকালয়ে ঢুকছে? তবে বন দফতরের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে এখনো কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
এর আগেও, ৬ জানুয়ারি মৈপীঠের দেবীপুরে এক মহিলার বাড়িতে ঢুকে পড়েছিল বাঘ, যা নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল এলাকা। এরপরও একাধিকবার বাঘের পায়ের ছাপ দেখা গেছে। ফের শুক্রবার রাতে দক্ষিণরায়ের (বাঘ) দেখা মেলায় নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে গ্রামবাসীদের মধ্যে।
শনিবার সকালে বন দফতরের কর্মীরা গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় তল্লাশি চালান। পায়ের ছাপ দেখে নিশ্চিত হওয়া গেছে, বাঘটি এখনও কাছাকাছিই রয়েছে। সাধারণত এত দ্রুত স্থান পরিবর্তন করে না বাঘ, সেই তথ্য মাথায় রেখেই বন দফতরের কর্মীরা লাগাতার খোঁজ চালাচ্ছেন। গ্রামবাসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন এবং বন দফতরের আরও সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার দাবি উঠছে। আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটানো গ্রামবাসীদের একটাই প্রশ্ন—কবে মিলবে এই ভয় থেকে মুক্তি?