Mamta Kulkarni: মহাকুম্ভে সন্ন্যাসী হলেন মমতা কুলকার্নি! দীক্ষার পর নতুন নাম বলিউড অভিনেত্রীর

একসময় বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন মমতা কুলকার্নি (Mamta Kulkarni)। বহু বছর পর সম্প্রতি ভারতে ফিরা মমতা আজ প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভ-এ যোগ দেন। তিনি কেবল কুম্ভে যোগই দেননি, সন্ন্যাস গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন। সন্ন্যাস গ্রহণের পর অভিনেত্রী একটি নতুন নামও পেয়েছেন।

মমতা কুলকার্নির নতুন নাম – শ্রী ইয়ামাই মমতা নন্দ গিরি

আজ বিকেলে প্রয়াগরাজে মমতা কুলকার্নির পট্টাভিষেক অনুষ্ঠিত হবে। তারপর তাকে একটি নতুন নাম দেওয়া হবে। মমতা কুলকার্নি (Mamta Kulkarni) এখন থেকে ইয়ামাই মমতা নন্দ গিরি নামে পরিচিত হবেন।

কিন্নর আখড়ার মহামণ্ডলেশ্বর হবেন মমতা

হিন্দি চলচ্চিত্রের সুপরিচিত অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নি (Mamta Kulkarni) প্রয়াগরাজ মহাকুম্ভ-এ সন্ন্যাস নিয়েছেন এবং এখন তাঁকে কিন্নর আখড়ায় মহামণ্ডলেশ্বর উপাধি দেওয়া হবে। চাদর পশি অনুষ্ঠানের পর তাকে এই উপাধি দেওয়া হবে। মমতা সঙ্গমের তীরে নিজ হাতে পিন্ড দান পরিবেশন করেছেন।

কে দীক্ষা দিলেন?

জুনা আখড়ার আচার্য লক্ষ্মী নারায়ণ ত্রিপাঠি কাছে মমতা কুলকার্নি দীক্ষিত হয়েছেন। মমতা বর্তমানে কিন্নর আখড়ায় অবস্থান করছেন এবং সন্ন্যাস গ্রহণের পর তিনি গেরুয়া বস্ত্রও পরিধান করেছেন।

Image

রুপোলি পর্দা থেকে মহামণ্ডলেশ্বর পর্যন্ত মমতার যাত্রা

মমতা কুলকার্নি (Mamta Kulkarni), ১৯৯২ সালের সুপারহিট ছবি ‘তিরঙ্গা’ দিয়ে তাঁর চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেছিলেন। তিনি প্রায় ৪০টি বলিউড ছবিতে কাজ করেছেন। ‘আশিক আওয়ারা’, ‘করণ অর্জুন’, ‘ওয়াক্ত হামারা হ্যায়’ এবং ‘ক্রান্তিবীর’-এর মতো বড় ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি তাঁর ভক্তদের হৃদয় জয় করতে শুরু করেন।

২০০১ সালে মুক্তি পাওয়া ‘রুস্তম’ তাঁর শেষ হিট ছবি ছিল। এর পর ২০০২ সালে ‘কভি হাম কভি তুম’ ছবির মাধ্যমে তিনি বিনোদন শিল্পকে বিদায় জানিয়ে কেনিয়ায় চলে যান। কন্নড় চলচ্চিত্রের পাশাপাশি তিনি তামিল, তেলেগু, মালয়ালম এবং হিন্দি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন।

২৪ বছর পর ভারতে ফেরেন মমতা

উল্লেখ্য, মমতা কুলকার্নি (Mamta Kulkarni) ২৪ বছর পর সম্প্রতি ভারতে ফিরেছেন। এত বছর ধরে এই অভিনেত্রী কোথায় ছিলেন জানতে চাইলে তিনি বলেছিলেন, “আধ্যাত্মিকতার কারণেই আমি ভারত ছেড়েছি। ১৯৯৬ সালে, আমি আধ্যাত্মিকতার দিকে ঝুঁকে পড়ি এবং সেই সময় আমি গুরু গগনগিরি মহারাজের সাথে দেখা করি। তাঁর আগমনের পর আধ্যাত্মিকতার প্রতি আমার আগ্রহ বৃদ্ধি পায়। এর পরেই আমার অনুসন্ধান শুরু হয়।”

অভিনেত্রী তাঁর অতীত জীবন সম্পর্কেও মুখ খলেন এবং বলেন, “আমি বিশ্বাস করি বলিউড আমাকে নাম এবং খ্যাতি দিয়েছে। পরবর্তীকালে, বলিউডের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়। ২০০০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত আমি তপস্যা করেছি। আমি বহু বছর ধরে দুবাইতে ছিলাম এবং দুই বেডের একটি হলে থাকতাম এবং ১২ বছর ধরে ব্রহ্মচারী ছিলাম।”