প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের মৃত্যুতে (Manmohan Singh Death) শোক জানিয়েছে আমেরিকা। শোকবার্তায় ভারতের জনগণের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করা হয়েছে। আমেরিকা শোকবার্তায় জানিয়েছে, ডঃ সিং মার্কিন-ভারত কৌশলগত অংশীদারিত্বের অন্যতম বড় প্রবক্তা ছিলেন। তিনিই গত দুই দশকে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যা অর্জন করেছে তার ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। এই চুক্তি শুধুমাত্র ভারতের জ্বালানির চাহিদা মেটানোর জন্যই গুরুত্বপূর্ণ ছিল না, বরং দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত ও অর্থনৈতিক সম্পর্ককেও নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিল।
মার্কিন প্রশাসনের তরফে আরও বলা হয়েছে, দেশের অভ্যন্তরে ডঃ সিং (Manmohan Singh Death) তাঁর অর্থনৈতিক সংস্কারের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবেন, যা ভারতের অর্থনৈতিক উত্থানকে ত্বরান্বিত করেছিল। আমরা ডঃ সিং-এর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করছি এবং আমেরিকা ও ভারতকে একত্রিত করার জন্য তাঁর উৎসর্গকে সর্বদা স্মরণ করব।
২০০৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অসামরিক পারমাণবিক চুক্তিতে মনমোহন সিংয়ের (Manmohan Singh Death) বড় ভূমিকা ছিল। এই চুক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সামগ্রিক সম্পর্ককে বদলে দিয়েছিল। এটি উচ্চ প্রযুক্তি ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে, বিশেষ করে পারমাণবিক শক্তি গবেষণার ক্ষেত্রে ভারত-মার্কিন কৌশলগত অংশীদারিত্বকে শক্তিশালী করার পথ খুলে দিয়েছে। ২০০৫ সালের জুলাই মাসে তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রপতি জর্জ ডব্লিউ বুশের সঙ্গে মনমোহন সিং-এর আলোচনার পর ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করে যে তারা অসামরিক পারমাণবিক শক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে।
মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে মনমোহন সিং (Manmohan Singh Death) অসামরিক পারমাণবিক শক্তি ক্ষেত্রে ভারত-মার্কিন সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা এবং পারমাণবিক অপ্রসারের ক্ষেত্রে ভারতের নিখুঁত রেকর্ডের বিষয়ে বিশদভাবে উল্লেখ করেছিলেন।