যতক্ষণ না পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমা চাইবেন ততক্ষণ পর্যন্ত মতুয়া সম্প্রদায় মুখ্যমন্ত্রীকে ক্ষমা করবে না
খবরএইসময় ডেস্কঃ মালদায় প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে মতুয়া ধর্মগুরু নাম ভুল উচ্চারণ হওয়ায় ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দিকে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পদ্ম শিবিরের নেতা শুভেন্দু অধিকারী মঙ্গলবার টুইট করে জানান ‘ পরম পূজনীয় পূর্ণব্রহ্ম পূর্ণাবতার শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর ও শ্রী শ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুরের নাম বিকৃত করে মতুয়া ও নমঃশূদ্র সমাজকে অপমানিত করেছেন মাননীয়া । সারা জীবন মতুয়া সমাজকে ভোট ব্যাংক ভেবেছেন, মন থেকে যে সম্মান করেন নি তা আপনার এই অভিজ্ঞতা থেকে প্রমাণ পায়। তীব্র নিন্দা জানাই’।
পরম পূজনীয় পূর্ণব্রহ্ম পূর্ণাবতার শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর ও শ্রীশ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুরের নাম বিকৃত করে মতুয়া ও নমঃশূদ্র সমাজকে অপমানিত করেছেন মাননীয়া। সারাজীবন মতুয়া সমাজকে ভোট ব্যাঙ্ক ভেবেছেন, মন থেকে যে সম্মান করেন নি তা আপনার এই অজ্ঞতা থেকে প্রমাণ পায়। তীব্র নিন্দা জানাই। pic.twitter.com/06Gkc4TO6D
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) February 1, 2023
মালদার সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী যখন সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের কথা জনসম্মুখে তুলে ধরছিলেন তখন মতুয়া প্রসঙ্গ উঠে আসায় মতুয়া ধর্মগুরুর নাম ভুল উচ্চারিত হয়। যদিও পরে মঞ্চে থাকা বিশিষ্টজনের কাছে নাম সঠিক বলেছেন কিনা তা জানার চেষ্টা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
অপরদিকে বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একটি বিবৃতি দিয়ে বলেন এটি সারা মতুয়া সমাজকে অপমান করা। এই কথা তিনি ইচ্ছাকৃত ভাবে বলেছেন বলে দাবি করেন সাংসদ । ঠাকুর বাড়িতে যেখানে প্রধান মন্ত্রী ও গৃহ মন্ত্রী গেছেন সেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী গত মাসে ৩১শে জানুয়ারী কি করে হরিচাঁদকে রঘুচাঁদ ও গুরুচাঁদকে গরুচাঁদ বলেন। সাংসদ আরো বলেন মুখ্যমন্ত্রী মতুয়া সম্প্রদায়কে ভোটবাক্স বলে মনে করেন। যতক্ষণ না পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমা চাইবেন ততক্ষণ পর্যন্ত মতুয়া সম্প্রদায় মুখ্যমন্ত্রীকে ক্ষমা করবে না। এই ঘটনায় পরবর্তী সময়ে সমগ্র ভোটবাক্সে জবাব দেবে সমগ্র মতুয়া সমাজ।
তবে রাজনৈতিক মহল মনে করছে পঞ্চায়েত ভোটের আগে পদ্ম শিবিরের পালে হওয়া লাগাতে মতুয়া ধর্মগুরু নাম বিতর্কে হাতিয়ার করছে পদ্ম শিবির।