কলকাতার ইএম বাইপাস সংলগ্ন মেট্রোপলিটন (Metropolitan Murder) এলাকায় ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড। ছুরিকাঘাতে আহত তরুণীর (Metropolitan Murder) মৃত্যু হল হাসপাতালে। শুক্রবার সকালে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ২৪ বছরের রোফিয়া শাকিল (Metropolitan Murder) । ঘটনায় ইতিমধ্যেই ১৬ বছরের এক কিশোরসহ (Metropolitan Murder) তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতে ইএম বাইপাস সংলগ্ন একটি গাড়ি থেকে নামতেই রোফিয়ার ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এক কিশোরসহ কয়েকজন মিলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে তাকে। প্রাণ বাঁচাতে দৌড়ানোর চেষ্টা করলেও আততায়ীরা ধাওয়া করে রোফিয়াকে। তবে ঘটনাস্থলেই তাদের ধরে ফেলে স্থানীয়রা এবং পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তরুণীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও শুক্রবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।
পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ধৃত ১৬ বছরের কিশোর স্বীকার করেছে, নিহত তরুণীর সঙ্গে তার বাবার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। সেই কারণেই এই নৃশংস হামলা চালায় সে। বাবার গতিবিধির ওপর নজর রাখতে গাড়িতে গোপনে জিপিএস ডিভাইস লাগিয়েছিল কিশোর। বৃহস্পতিবার রাতে বাবার গাড়ি বাড়ি থেকে বেরোতেই তাকে অনুসরণ করতে শুরু করে সে, তার মা ও কয়েকজন আত্মীয়। মেট্রোপলিটন এলাকায় এক রেস্তোরাঁর সামনে বাবার গাড়ি থেকে নামতেই তরুণীর ওপর হামলা চালানো হয়।
এলাকার বাসিন্দাদের প্রশ্ন, যেখানে মেট্রোপলিটন এলাকায় কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের ট্র্যাফিক গার্ড রয়েছে, বিধাননগর ও কলকাতা পুলিশের নজরদারি থাকে, সেখানে কীভাবে প্রকাশ্য রাস্তায় এমন ভয়াবহ হামলা ঘটে গেল? সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।
পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে এবং তদন্ত চলছে। তবে কিশোরের বাবা কোথায় ছিলেন এবং তিনি আদৌ এই হামলায় জড়িত ছিলেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।