ইডির(ED) তলব পেয়ে তাদের দফতরে হাজির হলেন রাজ্যের ক্যাবিনেট মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ। বুধবার সকালে তিনি পৌঁছন সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে। সূত্রের খবর, রাজ্যের প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের সূত্রে ডেকে পাঠানো হয়েছে চন্দ্রনাথকে।
রাজ্যের ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পের দফতরের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ। সম্প্রতি অখিল গিরি মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পরে তাঁর হাতে থাকা কারা দফতরের দায়িত্বও সরকার দিয়েছিল চন্দ্রনাথকে। সেই চন্দ্রনাথের নাম প্রথম নিয়োগ মামলায় প্রকাশ্যে আসে তদন্তকারীরা কুন্তল ঘোষের ডায়েরিতে তাঁর নামের উল্লেখ পাওয়ার পরে।প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত তৃণমূলের বহিষ্কৃত নেতা হুগলির কুন্তল। তাঁর ডায়েরি থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রকাশ্যে এসেছে নিয়োগ মামলার একাধিক অজানা নাম। সেই ডায়েরিতে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথের নামের উল্লেখ পাওয়ার পরে তাঁর বাড়িতে তল্লাশিও চালিয়েছিল ইডি। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল মন্ত্রীর ফোন। ইডি সূত্রে খবর, ওই ফোন এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই বুধবার ডেকে পাঠানো হয়েছে চন্দ্রনাথকে।
ইডি সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার যোগ থাকার তথ্য উঠে এসেছে। কেন লক্ষ্য চন্দ্রনাথ? ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার কুন্তল ঘোষের কাছে পাওয়া ডায়েরিতে একশো জনেরও বেশি নাম রয়েছে। তার মধ্যেই রয়েছে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার নাম। তার পরিপ্রেক্ষিতে গত ২২ মার্চ, শুক্রবার সকাল পৌনে নটা নাগাদ ইডি আধিকারিকরা বোলপুরে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রতর পাড়ায় পৌঁছন। তিনটি গাড়ি করে আসা ইডি আধিকারিকরা এর পর বোলপুরের নিচুপট্টিতে থাকা মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার বাড়িতে হানা দেন। তল্লাশি শেষে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছিল, মন্ত্রীর বাড়ি থেকে নগদ ৪১ লক্ষ টাকা এবং একটি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল।