প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২৩শে আগস্ট ইউক্রেন সফর (Modi Ukraine Visit) করবেন। তিনিই হবেন প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী যিনি ইউক্রেন সফর করবেন। তাঁর সফর বিশ্বজুড়ে খুব চর্চা হচ্ছে। যদিও চর্চার কারণ কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রথমবার ইউক্রেন নয়, বরং সফরের উদ্দেশ্য ও গুরুত্বই হল চর্চার মূল কারণ।
সফরের দিনে মোদী ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। যদিও এর আগে তিনবার ভিন্ন ভিন্ন বিশ্বমঞ্চে জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে মোদীর। তবে, এবার নরেন্দ্র মোদীর ইউক্রেন সফরের (Modi Ukraine Visit) উদ্দেশ্য নিয়ে বিভিন্ন অনুমান করা হচ্ছে। গণমাধ্যমে এই বিষয়ে চর্চাও চলছে প্রচুর।
মোদীর ইউক্রেন সফর এইসব কারণে গুরুত্বপূর্ণ-
১. গত ৮-৯ জুলাই রাশিয়া সফরে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২২তম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে তিনি রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেই সাক্ষাতের দেড় মাসের মধ্যে মোদীর ইউক্রেন সফর (Modi Ukraine Visit)। আর তাই এ নিয়ে চর্চা হওয়া স্বাভাবিক। বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটানোর চেষ্টা করতে চলেছেন।
২. এমনও বলা হচ্ছে যে রাশিয়ার গত মাসে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের সময়ও মোদী যুদ্ধ সমাপনের বিষয়ে আলোচনা করেছিলেন, যাতে পুতিন অনেকাংশে সম্মত হয়েছিলেন বলেও মনে করা হচ্ছে। এবার মোদী তিনি ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতির সামনে এই বিষয়ে কিছু প্রস্তাব রাখতে চলেছেন।
৩. জাতিসংঘের সেক্রেটারি-জেনারেল আন্তোনিও গুতেরেস এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স এবং জার্মানি সহ অন্যান্য বিশ্ব নেতারা বারবার বলেছেন যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগ নেওয়া উচিত। এই দেশগুলি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে মধ্যস্থতার জন্য মোদীকেই সর্বোত্তম বিকল্প হিসাবে বিবেচনা করেছে। এই সবকিছুর পরিপ্রেক্ষিতে মোদীর এই সফরকে (Modi Ukraine Visit) গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
৪. গত মাসে জেলেনস্কির চিফ অফ স্টাফ অ্যান্ড্রি ইয়ারমাক ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) অজিত ডোভালের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন যে ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। গত মাসে পুতিন-মোদী সাক্ষাতের পর ইয়ারমাকের বয়ান সামনে আসে। দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই ভারতের অবস্থান ছিল যে, উভয় দেশকে পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে একটি উপায় খুঁজে বের করতে হবে। এমন একটি উপায় যা উভয়ের কাছে গ্রহণযোগ্য… এই কারণেই বিদেশ মন্ত্রক বলছে যে ভারত মধ্যস্থতা করবে না, তবে অবশ্যই একে অপরের বার্তা বিনিময় করে দেবে।
৫. প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই সফর (Modi Ukraine Visit) এমন এক সময়ে যখন ইউক্রেন রাশিয়ার সঙ্গে তার সীমান্তে হামলা জোরদার করেছে। ইউক্রেনীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে ইউক্রেন রাশিয়ার কিছু অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণও নিয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়া মারাত্মক অস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনে আক্রমণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে আলোচনা চলছে যে প্রধানমন্ত্রী মোদী দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধ করার চিত্রনাট্য নিয়ে ইউক্রেন যাচ্ছেন।