Modi-Zelenskyy Meeting: “আমরা শান্তির পক্ষে, সময় নষ্ট না করে রাশিয়া-ইউক্রেন নিজেদের মধ্যে আলোচনা শুরু করুক”, বললেন মোদী

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুই দিনের পোল্যান্ড সফরের পর এখন ইউক্রেন (Modi-Zelenskyy Meeting) সফরে আছেন। শুক্রবার তিনি বিশেষ ট্রেন ফোর্স ওয়ানে কিয়েভে পৌঁছেছেন। প্রায় দশ ঘণ্টার ট্রেন যাত্রার পর তিনি কিয়েভে পৌঁছন। তিনি ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে সাত ঘণ্টা থাকবে। এই সময়ের মধ্যে তিনি রাষ্ট্রপতি জেলেনস্কির সঙ্গে বহু প্রতীক্ষিত বৈঠক (Modi-Zelenskyy Meeting) করবেন। এর আগে, তিনি কিয়েভে পৌঁছনোর পর ভারতীয় সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্ব যখন চরমে পৌঁছেছে, এমন সময়ে মোদীর এই সফর।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভোলোদিমির জেলেনস্কি কিয়েভের মারিনস্কি প্রাসাদে একটি প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক (Modi-Zelenskyy Meeting) করেছেন এবং দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক বিনিময় প্রত্যক্ষ করেছেন।  জেলেনস্কির সঙ্গে কথোপকথনের সময় প্রধানমন্ত্রী মোদী স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে ভারত কখনও যুদ্ধে নিরপেক্ষ অবস্থান নেয়নি, বরং সর্বদা শান্তির পক্ষে ছিল। দ্বন্দ্ব নিরসনে সংলাপ ও কূটনীতির পক্ষে ভারতের ধারাবাহিক প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ‘এই যুদ্ধে ভারত কখনই নিরপেক্ষ ছিল না, আমরা শান্তির পক্ষে।’

ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কথোপকথনে প্রধানমন্ত্রী মোদী (Modi-Zelenskyy Meeting) দ্বন্দ্ব নিরসনে আলোচনা ও কূটনীতির ওপর জোর দেন। মোদী বলেন, যুদ্ধ কোনও সমস্যার সমাধান নয়। আলোচনা ও কূটনীতির মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে। উভয় পক্ষই একে অপরের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করুক। সময় নষ্ট না করে রাশিয়া-ইউক্রেন কথা বলুক। শান্তি প্রচেষ্টায় ভারত সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে।

প্রধানমন্ত্রী মোদীর ইউক্রেন সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে ৪টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। দুই দেশ মানবিক সহায়তা, কৃষি, খাদ্য ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে সম্মত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী মোদী আজ সকালে কিয়েভে রাষ্ট্রপতি জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ (Modi-Zelenskyy Meeting) করেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতিকে আলিঙ্গন করার আগে দুই নেতা হাত মেলান। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের শহীদদের প্রদর্শনী পরিদর্শনের সময় প্রধানমন্ত্রী মোদীর হাত জেলেনস্কির কাঁধে দৃঢ়ভাবে রাখা ছিল, যা ইউক্রেনের সঙ্গে ভারতের সংহতির লক্ষণ ছিল।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আশা প্রকাশ করেছেন যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ইউক্রেন সফর রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধের অবসান ঘটাতে অবদান রাখবে।